n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-১২-২০ ১৮:৫৯:০৫ || আপডেট: ২০১৫-১২-২০ ১৯:০১:২০
স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় আটক এমদাদ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)
ঢাকা : দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বাংলাদেশ বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. এমদাদ হোসেন। অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর (ডিএমপি) থানায় দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২১। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিভিন্ন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জটিল লেনদেনে লেয়ারিং করে অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার চেষ্টা এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। যা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমানিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২ (ফ) এর অ(১), ঈ এবং ২(শ) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের গ্রাহক মো. এমদাদ হোসেনের স্ত্রী আইরিন হোসেন, কন্যা ইসমত তাবাসসুম এবং তার কর্মচারী মির্জা আব্দুস সাত্তার ও মো. মাজেদুল ইসলামের নামে ব্র্যাক ব্যাংক ও দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাব খোলেন। এসব হিসাব নাম্বারে প্রচুর অর্থের লেনদেন করেন। এসব গ্রাহকের হিসাব খোলার ফর্মে ব্যবসায়ী উল্লেখ করা হলেও, যেসব কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তা সমাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি মূলত এসব জটিল লেনদেনের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের লেয়ারিং বিস্তার করে অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার অবৈধ প্রচেষ্টা করেছেন। আর এভাবে তার অর্জিত ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ টাকার কোন বৈধ উৎসও তিনি দেখাতে পারেননি। এসব টাকা গোপন করার উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন করেছেন। যার কারণে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়েরে অপরাধ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এমদাদ হোসেন সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ১২ নভেম্বর বিমানবন্দর থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি। বর্তমানে ঢাকা জেলার কেন্দ্রী কারাগারে বন্দি আছেন।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এন এ কে