, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া যে তিনটি সত্য এখনো জানা গেলনা

প্রকাশ: ২০১৫-১২-০৩ ২০:৫১:৫৬ || আপডেট: ২০১৫-১২-০৩ ২০:৫১:৫৬

Spread the love

পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া যে তিনটি সত্য এখনো জানা গেলনা
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম মধ্যপ্রাচ্য, অনলাইন ডেস্ক:
পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনাই এ পর্যন্ত ঘটেছে যা খোঁজার জন্য ইতিহাস ঘাঁটার কোন প্রয়োজন নেই। সাংবাদিকতার ভাষায় ঐ ঘটনাগুলোর মানবিক আবেদন কিংবা সময়োপযোগিতা কখনো শেষ হবে না।

আর সবচেয়ে মজার বিষয়টি হচ্ছে ঐ ঘটনাগুলো সারা পৃথিবীর মানুষ যেভাবে জেনেছে ঠিক সেভাবেই ঘটনাগুলো ঘটে নি। আসলেই কি ঘটেছিল তা নিয়ে এখনও মানুষের মাঝে আছে তর্ক-বিতর্ক, আছে সন্দেহের দোলাচল। আজ আমরা জানব এমনি কিছু ঘটনা।

১। আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলা-
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে যে বিমান হামলা হয়েছিল তা নাড়িয়ে দিয়েছিল সমগ্র বিশ্বকে। আফগান-সোভিয়েত যুদ্ধে যে সংগঠন আমেরিকার মদদপুস্ট ছিল, সেই সংগঠনই এই নারকীয় হামলা চালিয়েছিল বলে প্রমানিত(পড়ুন অভিযুক্ত)হয়। এই হামলায় প্রায় ৩০০০ মানুষ প্রান হারিয়েছিল। কিন্তু এই নারকীয় হামলাটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ! এর আসল সত্যি বের হয়েছিলো কয়েকটি।

প্রধান ২টি হল……

১. আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গোয়েন্দা সংস্হারা আগে থেকেই জানতো এই হামলার কথা। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নিজের আধিপত্য বিছানোর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি তারা। তাই চুপ করে থাকে সবাই হামলার আগে।
২. এই হামলা আমেরিকা ও ইজরায়েলীদের মিলিতভাবে করা। কারণ অনেক প্রতক্ষ্যদর্শীরাই জানিয়েছিলেন বিমান

২টি ভবনে আছড়ে পড়ার সময় এবং ভবন ২টি ভেঙ্গে পড়ার আগে তারা সেখান থেকে প্রচন্ড বিস্ফোরনের শব্দ শুনেছিলেন। আবার ভবন ২টির যে আদলে নির্মিত তা এভাবে এবং মূহুর্তে একদম মাটির সাথে মিশে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। যদি প্রচন্ড ধরণের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এই ভবনে তাহলেই সেটি সম্ভব। কারণ আবারও সেই মধ্যপ্রাচ্য।

২। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির গুপ্তহত্যা-
আমেরিকার ৩৫তম সবার প্রিয় প্রেসিডেন্ট JFK কে ১৯৬৩সালের ২২শে নভেম্বর ডালাসে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। পরপর ৩টি গুলি করা হয় তাকে। ঘাতক হলো Lee Harvey Oswald। তাকে ধরাও হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরেই ঘাতককে আদালত প্রাঙ্গনে সবার সামনে গুলি করে মেরে ফেলা হয়।
ধারণা করা হয় এটাও আমেরিকার নিজেদের গোয়েন্দা সংস্হা এবং উচ্চ পর্যায়ের লোকদের কাজ। নাহলে দিনেদুপুরে আমেরিকার মতো দেশের প্রেসিডেন্টকে এভাবে গুলি করে মেরে ফেলা একেবারেই অসম্ভব কাজ। এর আরো কয়েকটি যুক্তি……

১. প্রেসিডেন্টকে গুলি করে মারার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই শুরু হয় লাশকে নিয়ে এক নজিরবিহীন গোপনীয়তা। কারণ কি??? আবার তদন্ত কমিটি যখন এই হত্যার রিপোর্ট দেয় কেন সেই রিপোর্টে এত মিথ্যা তথ্য ও গড়মিল দেখা গেলো??

২. প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার জন্য হামলা হবে এরকম কয়েকটি গুজব কয়েকদিন ধরেই বাতাসে ভাসছিলো। তাহলে উনাকে সেইদিন কেন এত কম নিরাপত্তার মাঝে রাখা হলো ??

৩. সেই ঘটনার সাক্ষী সবাই বলছেন তারা সবাই ৩টি নয় বরং ৪টি গুলির শব্দ শুনেছিলেন এবং যে গুলিটিতে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয় সেটি এসেছিলো অন্য জায়গা থেকে। কেন তাহলে সেই সাক্ষীদের এই দাবীর কোন তদন্ত না করেই সরকারী সংস্হাগুলো আষাড়ে গল্প বলে বেড়াচ্ছে???

৩। প্রথম চন্দ্রাভিজান-
১৯৬৯ সালটি ছিলো পৃথিবীর জন্য এক স্বপ্নের বছর। স্বপ্নকে জয় করার বছর। এই দিনে পৃথিবীর মানুষের পদধূলী পরে চাদে!!! চাদ জয় করে মানুষ।
এর বিরোধী দলও কম নয়। তারা বলে ১৯৬৯সালে মানুষ কোনভাবেই চাদ জয় করে নাই। সেই সময় পৃথিবীতে মানুষদের যেই প্রযুক্তি ছিলো তাতে চাদের মাটিতে পা রাখা এক অসম্ভব ব্যাপার ছিলো। পুরোটোই আমেরিকানদের বানানো। সম্পূর্ণ ঘটনাটিই আমেরিকানরা পৃথিবীর মাটিতেই চরম গোপনীয়তার সাথে শুটিং করে মানুষদের দেখায়। একদল তো আরো বেশী সরস। তাদের দাবী সেই শুটিংয়ের পরিচালক ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/একে

Logo-orginal