, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

যে তিন শ্রেনীর নারীকে বিয়ে করলে সংসারে আল্লাহর গজব নেমে আসবে!

প্রকাশ: ২০১৬-০১-২১ ০০:৫৪:১৩ || আপডেট: ২০১৬-০১-২১ ০০:৫৬:২৮

Spread the love
ইসলামিক ডেস্ক,আরটিএমনিউজ২৪ডটকম

muslim-nari-300x200ঢাকা : ইসলাম ধর্মে বিয়েকে ফরয করা হয়েছে। তাই প্রতিটি মুসলমানই বিয়ে করে থাকেন। তবে বিয়ের ব্যাপারে ইসলামে কড়া নির্দেশনা দেয়া আছে। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে কোন ধরণে নারীকে বিয়ে করতে হবে এবং কোন ধরণের নারীদের বিয়ে করা যাবে না। ইসলামে তিন শ্রেনীর নারীদেরকে বিয়ে করতে মানা রয়েছে। যদি কেউ তা অমান্য করে তাহলে তাদের সংসারে আল্লাহ তায়ালা গজব নেমে আসবে। যথাঃ

১) রক্ত সম্পর্কের কারনে হারাম, এই সম্পর্কের ৭ জন রয়েছে। (মা, কন্যা, বোন, ভাতিজী, ভাগিনী, খালা এবং ফুফু)।

২) দুগ্ধ সম্পর্ক বা দূধ পান করার কারনে হারাম, এই সম্পর্কেরও ৭ জন রয়েছে। (দূধ মা, দূধ কন্যা, দূধ বোন, দূধ ভাতিজী, দূধ ভাগিনী, দূধ খালা এবং দূধ ফুফু)।

৩) বৈবাহিক সম্পর্কের কারনে হারাম: সৎ মা, পুত্র বধু বা পৌত্র বধু (নাতির বউ), শ্বাশুড়ী, দাদি শ্বাশুড়ী বা নানী শ্বাশুড়ী এবং স্ত্রীর অন্য পক্ষের কন্যাসমূহ।

অনুরুপভাবে, স্ত্রী ও তার বোন, স্ত্রী ও তার ফুফু, স্ত্রী ও তার খালাকে একত্রে বিবাহ করে একত্রে স্ত্রী হিসাবে রাখা হারাম।

মহান আল্লাহ বলেছেন, “যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ। তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।” (সূরা নিসাঃ আয়াতঃ ৪:২২-২৩ এবং ইমাম বুখারী সংগৃহিত হাদিসঃ ২৬৪৫, ৫১০৯)।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

Logo-orginal