, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কুরআন নাযিল ও তাকওয়া অর্জনের মাস “রমজান”-

প্রকাশ: ২০১৬-০৬-০৮ ১৪:১১:৩২ || আপডেট: ২০১৬-০৬-০৮ ১৪:১১:৩২

Spread the love
কুরআন নাযিল ও তাকওয়া অর্জনের মাস “রমজান"-১
কুরআন নাযিল ও তাকওয়া অর্জনের মাস “রমজান”-১

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ডেস্কঃ “রমজান মাস। এ মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মানবজাতির জন্য পথ নির্দেশিকা। সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী।” সূরা বাকারা-১৮৫

আয়াতে দুইটা বিষয় নির্দেশ করে-

১. আল কুরআন নাযিল হয়েছে- রমজান মাসে

২. মানব জাতির পথ নির্দেশিকা হচ্ছে- আল কুরআন

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন- “মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন: আদম সন্তানের প্রতিটি আমল তার নিজের জন্য, তবে রোজা ছাড়া। কারন রোজা আমার জন্য এবং আমিউ তার প্রতিদান দিব। আর রোজা ঢাল স্বরুপ। কাজেই তোমাদের কেউ যখন রোজা রাখে, সে যেন অশ্লীল কাজ না করে, শোরগোল না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় বা তার সাথে ঝগড়া করে তাহলে তার বলা উচিত-আমি রোজাদার। যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ তাঁর কসম! রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের চেয়েও সুগন্ধযুক্ত। রোজাদারের দুটি আনন্দ, একটি তার ইফতারির সময় আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে যখন সে তার রবের সাথে সাক্ষাত করবে, তখন সে তার রোজার জন্য আনন্দিত হবে।” -বুখারি ও মুসলিম শরীফ

রাসূল (সাঃ) আরও বলেছেন “এটি সবর, ধৈর্য্য ও তিতীক্ষার মাস। আর সবরের প্রতিফল খোদার নিকটা পাওয়া যাবে জান্নাতরূপে। এ হচ্ছে পরস্পর সহৃদয়তা ও সৌজন্য প্রদর্শনের মাস। এ মাসে মুমিনের রিযিক প্রশস্ত করে দেয়া হয়। এ মাসে যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার ফলস্বরুপ গোনাহ মাফ করে দেয়া ও জাহান্নাম হতে তাকে নিস্কৃতি দান করা হবে। আর তাকে প্রকৃত রোজাদারের সমান সওয়াব দেয়া হবে, কিন্তু সেজন্য প্রকৃত রোজাদারের সওয়াব কিছুমাত্র কম করা হবে না। আর যে লোক এ মাসে নিজের অধিন লোকদের শ্রম হাল্কা করে দেবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন এবং দোযখ হতে নিস্কৃতি দেবেন”-বায়হাকী

তিনি (সাঃ) বলেন “যে লোক রমজান মাসের রোজা রাখবে ঈমানী চেতনা সহকারে, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গোনাহ মাফ করা হবে” –বুখারী

উপরের হাদীসগুলো থেকেই স্পষ্ট যে রমজান মাসের গুরত্ব কেমন। এখন প্রশ্ন হল অন্য মাসের না হয়ে রমজান মাসের গুরত্ব এত বেশি হল কেন! এই প্রশ্নেরই উত্তর সহজভাবে দেয়া হয়েছে উপরের আয়াত দিয়ে অর্থাৎ এ মাসের মর্যাদার পিছনে একমাত্র কারণ হলো- এ মাসে পবিত্র কুরআনুল কারীম নাযিল হয়েছে।

এখান থেকে এটাও স্পষ্ট যে আসলে মাসের আলাদা কোন গুরত্ব নাই বরং গুরত্ব হলো কুরআন শরীফের। কুরআন শরীফ যদি এই রমজান মাসে নাযিল না হয়ে মহরম মাসে নাযিল হতো তাহলে অবশ্যই মহরম মাসের গুরত্ব বেড়ে যেত, তখন আর রমজান মাসের আলাদা কোন গুরত্ব বা মর্যাদা থাকতো না।

 

লিখেছেনঃ মোঃ আবু তাহের ( গুগুল হতে )

Logo-orginal