আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকার কল্যাণপুরে একটি কথিত জঙ্গী আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৯ জন সন্দেহভাজন জঙ্গী নিহত হবার পর এখন প্রশ্ন উঠছে, তারা কারা এবং কোন সংগঠনের সদস্য?
পুলিশের আইজি শহিদুল হক মঙ্গলবার সকালে কল্যাণপুরের ঘটনাস্থল পরির্দশন করার পর বলেন, তারা ধারণা করছেন যে তারা নিষিদ্ধ জঙ্গী গ্রুপ জামায়াতুল মুজাহিদীন বা জেএমবি’র সদস্য।
পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা অবশ্য তাদের পরিচয় সম্পর্কে ‘জঙ্গী’ বা ‘সন্ত্রাসী’ ছাড়া অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করেন নি, তারা ঠিক কোন সংগঠনের সদস্য বলে তারা ধারণা করেন- তা-ও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন নি।
পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ফেসবুকে নিহতদের ছবি প্রকাশ করেছে। ‘ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ-ডিএমপি’ নামের ওই পাতায় পুলিশ নিহতদের ‘গুলিবিনিময়ে নিহত জঙ্গী/সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করে তাদের পরিচয় জানানোর জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে এরা এবং গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলাকারীরা একই গ্রুপের সদস্য। তারা একই ধরণের পোশাক পরা ছিল।
পুলিশের মহাপরিদর্শক শহিদুল হক কিছুদিন আগেই বলেছেন, গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে যারা বিদেশী সহ ২০ জনকে হত্যা করেছে – তারা জেএমবির সদস্য।
কল্যাণপুরের অভিযানের পর পুলিশের বিতরণ করা ছবিতে দেখা যায় নিহত যুবকদের ফ্ল্যাটে অস্ত্র, কালো পোশাক, লাল-সাদা রঙের আরবি শিরস্ত্রাণ ‘কেফিয়া’ ইত্যাদি সহ ইসলামিক স্টেট বা আইএসের পতাকাও ছিল।
বাংলাদেশের কিছু সংবাদ মাধ্যম প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে বলছে, তাজ মঞ্জিল নামে বাড়িটির বারান্দায় দাঁড়িয়ে যুবকরা তাদের আইএস সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে চিৎকার করে বলছিল, তারা জিহাদ করছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নিহতদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে, তারা কালো পাঞ্জাবি এবং জিন্স পরা ছিল, একজন ছাড়া সবাই কেডস জুতো পরা ছিল।
পুলিশের মহাপরিদর্শক শহিদুল হক সকালে কল্যাণপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, নিহত যুবকরা নিজেদের আইএস পরিচয় দিলেও তাদের সাথে আই এসের কোন যোগসূত্র পাওয়া যায় নি – এমন মন্তব্য করেন মি. হক ।
সিরিয়া এবং ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠাকারী ‘ইসলামিক স্টেট’ গোষ্ঠী তাদের মুখপত্র ‘দাবিক’-এ একাধিক নিবন্ধে জেএমবিকে বাংলাদেশের তাদের অনুমোদিত একমাত্র ‘প্রকৃত জিহাদি সংগঠন’ বলে উল্লেখ করে।
হোলি আর্টিজানে আক্রমণকারীরা ওই হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকেই ইসলামিক স্টেটের সংবাদসংস্থা ‘আমাকে’ তাদের হামলার খবর ও ছবি পাঠায়।
উৎসঃ বিবিসি