, রোববার, ৫ মে ২০২৪

admin admin

অবশেষে পরিচয় মিলল বাকি দুই জঙ্গির

প্রকাশ: ২০১৬-০৮-২৮ ০৯:১৭:৫২ || আপডেট: ২০১৬-০৮-২৮ ০৯:১৭:৫২

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় পুলিশের অভিযানে নিহত অপর দুই জঙ্গিকেও শনাক্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- যশোরের ফজলে রাব্বী ও রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডির বাসিন্দা তাওসিফ হোসেন।

গতকাল শনিবার সকালে অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ নামের অভিযানে এই দু’জনসহ ৩ জঙ্গি নিহত হন।

অভিযানের পরপরই পুলিশ গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মূলহোতা তামিম আহমেদ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করে।

তামিম চৌধুরীর বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নে। তার বাবার নাম শফি আহমদ। তিনি জাহাজে চাকরি করতেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর শফি আহমদ সপরিবারে কানাডায় চলে যান। তার পরিবারের সদস্যরা কানাডাতে বসবাস করেন। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর তামিম দেশে এসে নিউ জেএমবির নেতৃত্ব নেন।

অবশেষে পরিচয় মিলল বাকি দুই জঙ্গির
অবশেষে পরিচয় মিলল বাকি দুই জঙ্গির

অভিযানের পর ব্রিফিংয়ে আইজিপি একেএম শহীদুল হক জানান, অভিযানে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের সঙ্গে নিউ জেএমবির সামরিক কমান্ডার তামিম অহমেদ চৌধুরীর চেহারার মিল রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।

পরে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত বাকি দু’জনের নাম বলা হয়েছিল- মানিক (৩৫) ও ইকবাল (২৫)। এদের মধ্যে ইকবাল রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানের সময় পালিয়ে যায়।

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ইউসুফ আলী সে সময় আরও জানান, ডিএনএ পরীক্ষা, আঙুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে তাদের পরিচয় পুরোপুরি নিশ্চিত করা হবে।

এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজনের পকেটে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি যশোরের কিসমত নওয়াপাড়ার ফজলে রাব্বী। তিনি যশোর এমএম কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

গত ৫ এপ্রিল থেকে ফজলে রাব্বী নিখোঁজ। ৭ এপ্রিল পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে থানায় জিডি করা হয়। রাব্বীর বাবা হাবিবুল্লাহ স্থানীয় একটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।

মনিরুল ইসলাম বলেন, অপর জঙ্গি তাওসিফ হোসেনের বিষয়ে এখনও শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তাওসিফ ঢাকার ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর (নতুন) সড়কের বাসিন্দা ডা. আজমল হোসেনের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুরে।

র‌্যাবের সর্বশেষ নিখোঁজ তালিকায় তাওসিফের নাম ৭ নম্বরে ছিল। তিনি গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে ধানমণ্ডি থানায় ওইদিনই একটি জিডিও (নং ১৪৩) দায়ের করা হয়েছিল।

ম্যাপল লিফ নামে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল এবং  ‘এ’ লেভেল শেষ করে তাওসিফ মালোশিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিদের একাধিক সাংগঠনিক নাম রয়েছে। মানিক ও ইকবাল এদের সাংগঠনিক নাম ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উৎসঃ যুগান্তর

Logo-orginal