, রোববার, ৫ মে ২০২৪

admin admin

গুলশান হামলা, পার পেয়ে যেতে পারেন তাহমিদ

প্রকাশ: ২০১৬-০৮-২০ ২২:০১:২২ || আপডেট: ২০১৬-০৮-২০ ২২:০১:২২

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকাঃ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তাহমিদ হাসিব খান জড়িত নন বলে মনে করছে পুলিশ। দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হলেও তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, তাহমিদকে আর আটক রাখার আগ্রহ নেই তাদের। তাহমিদের পরিবার জামিন আবেদন করলে পুলিশ এর বিরোধিতা করবে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তিনি কিছুদিন কারাগারে থাকবেন, এরপর হয়তো জামিনে ছাড়া পাবেন। ’

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে বন্ধুদের নিয়ে খেতে যান কানাডাপ্রবাসী তাহমিদ। ওই রাতে জঙ্গিরা ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করলেও তাহমিদকে ছেড়ে দেয়। পরদিন সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহতের পর ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে গোয়েন্দারা তাদের সবাইকে ডিবি অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সবাই ফিরে এলেও তাহমিদ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ফেরেননি।

এই দুজনকে পুলিশ আটকে রেখেছে বলে তাদের স্বজনরা অভিযোগ করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করে। এক মাসের বেশি সময় পর গত ৪ আগস্ট তাহমিদ ও হাসনাতকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।

পরদিন আদালতের মাধ্যমে দুজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৩ আগস্ট হাসনাত করিমকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আরও আট দিন এবং তাহমিদকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ছয় দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এর আগে তাহমিদের বেশ কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় যাতে দেখা যায় হাসনাত, তিনি ও হামলাকারীদের একজন ছাদে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। এ সময় তাহমিদের হাতে একটি অস্ত্রও দেখা যায়।

পুলিশ বলছে, তাহমিদ তাদের জানিয়েছেন, হামলাকারীদের নির্দেশে জীবন বাঁচাতে ওই অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন তিনি। ১৪ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ, আনুষঙ্গিক ঘটনাপ্রবাহ এবং সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে এই তরুণকে নির্দোষ মনে করছে পুলিশ। এ কারণেই গুলশানের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার না দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।  সেখানে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। তবে তা নাকচ করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোনর আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা দুই দফায় রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছি। তবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।’

কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ বাংলাদেশের এক বিশিষ্ট শিল্পপতির ছেলে। গুলশান হামলার আগের দিন তিনি দেশে আসেন। তাহমিদকে আটক দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদনের বিরোধিতা করে তার আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, তিনি সেদিন ঘটনাক্রমে বন্ধুদের নিয়ে ওই রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন।

উৎসঃ ঢাকাটাইমস

Logo-orginal