, রোববার, ৫ মে ২০২৪

admin admin

মিরপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জেএমবির কমান্ডার নিহত (ভিডিও সহ)

প্রকাশ: ২০১৬-০৯-০৩ ০৮:৫০:৩৪ || আপডেট: ২০১৬-০৯-০৩ ০৮:৫০:৩৪

Spread the love
আরটিএমনিউজ২৪ডট কম, ঢাকা: মিরপুরের রূপনগরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুরাদ নামে জেএমবির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন। এসময় রূপনগর থানার ওসি শহীদ আলমসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের কাছে একটি পিস্তল ও একটি ছুরি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, গোলাগুলিতে রূপনগর থানার ওসি শহীদ আলম, ওসি (তদন্ত) শাহীন ফকির এবং এসআই মমিনুর রহমান আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে ওসি শহীদ আলম, ওসি (তদন্ত) শাহীন ফকিরকে স্কয়ার হাসপাতালে আর এসআই মমিনুর রহমানকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের নাম মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদ। সে ওই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

রূপনগর থানার ডিউটি অফিসার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর রোডের ৩৪ নম্বর বাসায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও তাদের লক্ষ্য গুলি ছোঁড়ে। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের অতিরিক্তি আইজিপি মোখলেসুর রহমান অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযান প্রতিনিয়ত চলছে। আমরা দিবারাত্রি জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার চেষ্টা করছি। এখানে যে সংবাদ পাচ্ছি, সে সংবাদের উপর ভিত্তি করে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অতিরিক্তি আইজিপি বলেন, আজকে (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে এখানে একটি জঙ্গি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সুনির্দিষ্ট পুলিশ ইন্টিলিজেন্সের উপর নির্ভর করে রূপনগর থানা পুলিশ এ অপারেশনটি পরিচালনা করে।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের অতিরিক্তি আইজি বলেন, বাড়ির মালিক আমাদের সহযোগিতা করেছে বলে জানতে পেরেছি। নিহতের কাছে একটি পিস্তল ও একটি ছুরি পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, মিরপুরের ওই বাসাটি ভাড়া নেয়া ছিল মুরাদের। নারায়ণগঞ্জের অভিযানে আগে থেকেই তার এ বাসায় যাতায়াত ছিল। কিন্তু সেখানে অভিযানের পর সে এ বাসায়ও আসত না। একপর্যায়ে বাড়ির কেয়ারটেকার শফিককে বলা হয়, ভাড়াটিয়া (মুরাদ) এলে তিনি যেন পুলিশকে খবর দেন। কারণ তার মালামাল ওই বাসায় ছিল। প্রয়োজনীয় এসব মালামাল নিতে এলেই তাকে গ্রেফতারের ফাঁদ তৈরি করে পুলিশ।
এ অভিযানের একদিন আগে বৃহস্পতিবারও পুলিশ সেখানে ছদ্মবেশে যায়। পুলিশের টিম বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করে। কিন্তু মুরাদ মালামাল নিতে আসে না। শুক্রবার সারা দিনও বাসাটি তালাবদ্ধ থাকে।
সন্ধ্যায় মুরাদ এ বাসায় এলে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ঘটনাটি জানায় দারোয়ান। পরে কেয়ারটেকার মুরাদকে দেখতে পান। তিনি বাসার ভেতরে গিয়ে দেখেন, মুরাদ তাড়াহুড়ো করছে। বাড়ির কেয়ারটেকার ভেতরে তাকে আটকে রেখে বাইরের দরজায় তালা লাগিয়ে পুলিশে খবর দেন। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা খুলে বাসায় ঢুকতে গেলে মুরাদ পুলিশ সদস্যদের আঘাত করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পালাতে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এতেই নিহত হয় মুরাদ।
#যুগান্তর

Logo-orginal