, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি-জামায়াতের গোপন চুক্তি!

প্রকাশ: ২০১৬-১২-২৮ ১০:৫৯:৩৯ || আপডেট: ২০১৬-১২-২৮ ১০:৫৯:৩৯

Spread the love
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি-জামায়াতের গোপন চুক্তি!
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি-জামায়াতের গোপন চুক্তি!

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ  আগামী একাদশতম জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ওই নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। এ জন্য পরিকল্পনা করেছে দলটি। এমনকি ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপির হাই কমান্ডের সঙ্গে গোপন চুক্তিও সেরে ফেলেছে জামায়াত।

এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে পূর্বপশ্চিম বিডি অনলাইন নিউজ পোর্টালে।

বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি পূর্বপশ্চিমকে নিশ্চিত করেছে।

ইতোমধ্যে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম দলের নির্বাচনি প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ হারিয়েছে । এর আগে দলটির নিবন্ধনও কেড়ে নেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে আগামী নির্বাচনে দলটির সরাসারি অংশগ্রহণ অনিশ্চিত।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামায়াত। সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও জোটের অন্যতম শরিক হিসেবে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এ ধরণের কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।

এদিকে, জামায়াতের নতুন আমির ডা. মকবুল আহমাদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এবং দলের নীতিনির্ধারকদের একজন সরাসারি এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘ আমাদের দলকে নিষিদ্ধ করা হলেও পরবর্তী করণীয় ঠিক করে রাখা হয়েছে। আগামী সংসদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্যই বিএনপির হয়ে কমপক্ষে ৫০টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোটের আগামী বৈঠকে আমরা আসন সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য আলোচনা করবো।

বিএনপির প্রার্থী হয়ে জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রণ এবং গোপন চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। এরপর আপনাদের জানানো হবে। এছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে নির্বাচনি আসনসংখ্যা ভাগ-বাটোয়ারা করার প্রশ্ন এখন উঠছে না।

বিএনপির সাবেক চীফ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুক এ বিষয়ে বলেন, জামায়াত ইসলামী এখনো আমাদের জোটের শরিক দল। আগামী নির্বাচনের আগে দলটি যদি নিষিদ্ধ হয়ে যায়, তখন কি সিদ্ধান্ত হবে তা দেখা যাবে। এমনিতেই তো শরিক দলকে আসন ভাগ করে দেওয়া হয়। আর দলটি যেহেতু দলীয় প্রতীক হারিয়েছে, তাই বিএনপির প্রতীকে অংশ নিতেই পারে। কতটা আসনের বিষয়ে গোপন চুক্তি হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন জয়নাল আবেদিন ফারুক।

Logo-orginal