, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন খ্যাতিমান অভিনেতা মিঠুন

প্রকাশ: ২০১৭-০২-০৯ ১২:১০:২৭ || আপডেট: ২০১৭-০২-০৯ ১২:১০:২৭

Spread the love
সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন খ্যাতিমান অভিনেতা মিঠুন
সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন খ্যাতিমান অভিনেতা মিঠুন

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন: সত্তরের দশকে ‘নকশাল’ ছেলেটা পুলিশের গুঁতো খেয়ে কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিল। ফিরে এসেছিল মুখ উজ্জ্বল করে। নিজের মুখ। বাংলার মুখও। যে রাষ্ট্রের নজর এড়াতে যৌবনে শহর ছেড়েছিলেন, রাজনীতি আর সারদার হাত ধরে রাষ্ট্রের সেই ভ্রূকুটিই আবার ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়েছে তার জীবনে। বৃত্ত সম্পূর্ণ।

 

মিঠুন চক্রবর্তী ভারতের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা, সমাজ সংগঠক এবং উদ্যোক্তা। শৈশবে ‘গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী’ নামে ভারতের হায়দ্রাবাদে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মৃগয়া (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর অভিষেক ঘটে। এ ছবির মাধ্যমেই তিনি ‘সেরা অভিনেতা’ হিসেবে ভারতের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ লাভ করেন।

 

তিনি এ পর্যন্ত ৩০০ টিরও অধিক হিন্দী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলা, পাঞ্জাবী, তেলেগু, ওড়িয়া, ভোজপুরী চলচ্চিত্রেও অংশ নিয়েছেন। তিনি মনার্ক গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী, যা অতিথি সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।

 

মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতার জোঁড়াবাগানে বাঙ্গালী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

 

‘অরিয়েন্টাল সেমিনারী’তে শিক্ষাজীবন শুরু করেন মিঠুন। পরবর্তীতে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

 

তিনি জনপ্রিয় পরিচালক মৃণাল সেনের পরিচালনায় মৃগয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী জগতে প্রবেশ করেন। অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য এ ছবির মাধ্যমে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অভিষেকের পর তিনি দো আনজানে (১৯৭৬) এবং ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান (১৯৭৭) ছবি দু’টোয় সহ-চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু তাতে তিনি কোন গুরুত্ব ও সফলতা পাননি।

 

তৃণমূল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পরেই সারদা কেলেঙ্কারি তে এই মহানায়কের নাম উঠে এসেছিল পরবর্তীতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন।

 

মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কারও সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন না।

 

গতকাল স্থানীয় সময় রাতে মিঠুন তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী এবং কিছু শুভাকাংখীদের থেকে পরিবার সহ বিদায় নেন এবং আজ সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে কলকাতা থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন স্ত্রী যোগিতা,ছেলে মিমো এবং মা কে নিয়ে।

বিমানবন্দরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মিঠুন কিছুই বলেননি তবে তার ছেলে মিমো জানিয়েছেন আমাদের আর ফেরার সম্ভাবনা নেই। সিনেমা কে সমৃদ্ধ করার জন্য বাবা কত কিছুই না করেছেন কিন্তু সর্বশেষ আমাদের কপালে এটা থাকবে সেটি আমরা কল্পনায় ও ভাবিনি ।

 

এই বিষয়ে কলকাতার কিছু মিডিয়া জানিয়েছেন মিঠুনের চলে যাবার পিছনে তৃণমূলের অনেক বাঘা নেতাদের ষড়যন্ত্র আছে বলে এমনটাই জানিয়েছেন মিঠুনের জেঠাতো ভাই গোপাল ।

 

অপরদিকে মিঠুনের প্রস্থানের খবরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে তার ভক্তরা তাকে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে মিছিল করেছেন,অনেকেই কান্নাজড়ানো কন্ঠে বলছেন দাদার চলে যাওয়া আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা।

 

তবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল আর প্লাস মিঠুনের মৃত্যুর যে সংবাদ ছেপেছে সেটা সম্পূর্ণ গুজব ।

মেহেদি/৯২১৭

Logo-orginal