, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যে মন্তব্য সামরিক বিশ্লেষকদের

প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৯ ১৪:৩৫:৪৯ || আপডেট: ২০১৭-০৪-০৯ ১৪:৩৫:৪৯

Spread the love
 
প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যে মন্তব্য সামরিক বিশ্লেষকদের
প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যে মন্তব্য সামরিক বিশ্লেষকদের

ফাইল ছবি, মিঃ মনিরুজ্জামান ।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাইপলাইনে থাকা সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তিটির ব্যাপারে কী ঘটে তা জানার জন্য সীমান্তের উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রুদ্ধশ্বাস হয়ে অপেক্ষা করছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর নিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকে অনেক সমঝোতা ও চুক্তিতে সই হলেও প্রতিরক্ষার বিষয়টি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবসময় স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবেই বহাল রয়েছে।


বাংলাদেশ পক্ষে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টির কারণ বোধগম্য। অন্যদিকে ভারতীয় পক্ষে চুক্তিটি নিয়ে বিপুল উৎসাহ দেখা যাচ্ছে, চুক্তিটি নিয়ে কেন বিতর্ক হচ্ছে বা বিলম্ব হচ্ছে, তার কোনো যুক্তি তারা পাচ্ছে না। এই ব্যাপারে উভয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি নাটকীয়ভাবে ভিন্ন।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে সর্বকালের সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন আমলে সবসময়ই ভারতের সাথে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখতো।

বাংলাদেশ পক্ষে জনসাধারণের একটি বিপুল অংশ অবশ্য মনে করে, সম্পর্কটির মধ্যে ভারসাম্যের অভাব রয়েছে। তাদের মতে, দেওয়া-নেয়ার চেয়ে বেশি হচ্ছে সবকিছু দেয়া এবং কোনো কিছুই না পাওয়া। আর ভারতীয়রাই সবকিছু পাচ্ছে। বাণিজ্য, যোগাযোগ, কূটনীতি, সাংস্কৃতিক বিনিময় কিংবা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক না কেন, সবসময় ভারত কোনো না কোনোভাবে ওপরে থাকে। এটাকে ‘বিগ ব্রাদার’ সিনড্রোম হিসেবে দেখা হয়।

বাংলাদেশের কাছ থেকে চাওয়া প্রায় সবকিছু সহজেই পাওয়ার পর কিছু ফিরিয়ে দেয়ার কথা না বলে ভারত এখন মনে করছে, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আরো সমন্বয় ও সহযোগিতা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

সম্প্রতি এক প্রবন্ধে ভারতীয় গবেষক ও বিশ্লেষক জয়িতা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ভারত সফর করবেন। এ সময় অনেক চুক্তি হতে পারে। দুই দেশ যেসব চুক্তিতে সই করবে তার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এটাই সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতাটি গত কয়েক বছরে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সম্পর্ক আরো গভীর করবে।’

অবশ্য বাংলাদেশের মিডিয়া চুক্তিটি নিয়ে তত আশাবাদী নয়। রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকেরাও নয়। প্রতিরক্ষা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এই খাতের ওপর নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ কঠোরভাবে রক্ষা করে চলেছে। ভারতীয় মিডিয়া আসলে প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তিটি নিয়ে সহজাত নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করার জন্য বাংলাদেশে তাদের প্রতিপক্ষদের দোষী করছে। এতে মনে করা হচ্ছে, চুক্তিটির ব্যাপারে বাংলাদেশের বেশ আপত্তি রয়েছে। এমনটা মনে হওয়ার কারণ, কিছু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রস্তাবিত চুক্তিটি দেশটিতে চীনা প্রভাবের ভারসাম্য না থাকার জন্য করা হয়েছে।

ভারত মনে হয় বাংলাদেশের ব্যাপারে সন্দেহের বাতিকে ভুগছে। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারে সংশয় নিয়ে সত্যি কি কোনো বস্তুনিষ্ঠ কারণ নেই? এটা কি সন্দেহের বাতিক নাকি বিচক্ষণতা? এটা বলতে গেলে কোনো গোপন বিষয়ই নয় যে, সম্প্রতি চীন থেকে বাংলাদেশের দু’টি সাবমেরিন কেনা নিয়ে ভারতের কেউই তেমন খুশি হয়নি। সাবমেরিন দু’টি বাংলাদেশে আসার পরপরই ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব বাংলাদেশ সফর করেন।

ওই সময় আলোচনায় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ কেন এ ধরনের জিনিস কিনলো এবং কার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এ ধরনের সামরিক শক্তি বাড়ানো হচ্ছে – ওই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

মজার ব্যাপার হলো, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে যুদ্ধ খেলার মহড়া অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটা কল্পিত শত্রু থাকতে হয়। বাংলাদেশের ‘যুদ্ধ খেলায়’ কল্পিত শত্রু সবসময়ই ‘উলফ ল্যান্ড’ (নেকড়ে ভূমি)। ‘উলফ ল্যান্ড’ বলতে বোঝায় ভারত। মাত্র কিছু সময় আগে ‘উলফ ল্যান্ড’ প্রসঙ্গ পরিবর্তিত হয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো, এই বহিরাগত পরিবর্তনের সাথে কি মনের ভেতরেও পরিবর্তন হয়েছে?

প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রসঙ্গে আসা যাক। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হতে পারে। সাথে সাথেই বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ, মিডিয়া এবং অন্যান্য মহল থেকে প্রতিবাদ ওঠে। চুক্তিকে বিবেচনা করা হয় প্রবলভাবে বাধ্যবাধকতামূলক ও নিয়ন্ত্রক। সামরিক এস্টাবলিশমেন্ট নিজে প্রস্তাবটিকে কিভাবে নিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা যায়, তা বিরূপই হবে।

বাংলাদেশ সরকার নিজেও সম্ভবত উভয় সঙ্কটে রয়েছে। নির্বাচন কাছাকাছি চলে আসায় ভারতপ্রেম ভাবমূর্তি খুব একটা ভালো নয়। শেখ হাসিনা ভালোমতোই জানেন, ভারতপন্থী ঝোঁক সাধারণ মানুষ তথা ভোটারদের কাছে ভালোভাবে যাবে না। আর এ কারণেই তিনি বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা ২০০১ সালের নির্বাচনে ‘র’-এর হস্তক্ষেপের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। অভিজ্ঞ নেতা হাসিনা ভালোমতোই জানেন, বাংলাদেশিরা মনেপ্রাণে বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না। তিনি তার দেশের ভোটারদের খুশি রাখতে এই মন্তব্য করেছেন। বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি পূর্ব দিকেও তাকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সফর, ২৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি সই, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সম্পৃক্ততা, বাংলাদেশের বাজারে চীনা পণ্যের সয়লাব হয়ে যাওয়া এবং ভারতে উৎপাদিত পণ্যের প্রতিস্থাপন হওয়া – সবই চীনের সাথে সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার হওয়ার পর্যাপ্ত প্রমাণ।

এ সবই ভারতের জন্য সুখকর হয়নি এবং সাবমেরিন কেনা ছিল দৃশ্যত খড়ের শেষ টুকরা। সর্বোপরি ভারত চাচ্ছে আঞ্চলিক পরাশক্তি হতে। অন্যদিকে চীন আঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে ওঠে এখন বৈশ্বিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। দেশ দু’টির মধ্যে সবসময়ই আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›িদ্বতা ছিল এবং এখনো আছে। ভারতের পক্ষে তার এক বিশ্বস্ত মিত্রের বিরোধী শিবিরে যাওয়াটা হজম করতে পারা কঠিন।

মি: জামিল ডি আহসান
মি: জামিল ডি আহসান



প্রধানমন্ত্রী হাসিনা হয়তো ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে চীনের সাথে সুসম্পর্ক রেখে বিচক্ষণ কূটনীতির পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কি সেটা বজায় রাখতে পারবেন? মনে হচ্ছে তিনি প্রতীকী ধমক খেয়েছেন এবং সে কারণেই প্রতিবেশীর সুনজরে থাকার জন্য প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করতে যাচ্ছেন।

চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ গোপন করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়া ও জনগণকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, বাধ্যবাধকতাপূর্ণ চুক্তি হবে না, কেবল সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হবে। তবে তা গ্রহণ করা কঠিন। ভারতীয় সূত্রগুলো থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চুক্তিটি হবে ২৫ বছরের জন্য।

ভারত কেন বন্ধুপ্রতীম একটি জাতির কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির জন্য জোর দিচ্ছে? এর জবাবটা সম্ভবত ইন্ডিয়ান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক ও বিশ্লেষক জয়িতা ভট্টাচার্যের যুক্তির মধ্যে নিহিত রয়েছে। তিনি লিখেছেন : ‘আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণ হলো বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রকৃতিতেও পরিবর্তন আসে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক নির্ভর করে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের মানসিকতার ওপর।’

জয়িতা ভট্টাচার্যের বিবৃতিটি তাৎপর্যপূর্ণ। এতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, এই সরকার এ ধরনের চুক্তির জন্য সহায়ক, তবে অন্য সরকার হয়তো সহায়ক হবে না। তবে বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং এ দেশের জনগণের মতামতকে হিসাবে ধরা হয়। কোনো সরকার কিভাবে কোনো চুক্তি করতে পারে, যে দেশের জনগণ তার সাথে ভিন্নমত পোষণ করে? এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির জন্য জোরাজুরি করাটা কেবল এটাই প্রমাণ করে, এটা হয়তো জনগণ চায় না এবং পরবর্তী সরকারের আগমনে তা বাতিল হয়ে যেতে পারে। কেবল আইনগত বাধ্যবাধকতাপূর্ণ চুক্তিই সেটা বহাল রাখতে পারে।

বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় পক্ষ বোঝানোর চেষ্টা করছে, ভারতের অস্ত্র বাজার থেকে বাংলাদেশ বিপুলভাবে উপকৃত হতে পারে। তারা বলছে, বিশ্ববাজারে ভারত সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এবং শিগগিরই বড় সরবরাহকারীতে পরিণত হবে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ভারতে উৎপাদন ও সংযোজনের কাজ করছে। ভারতীয় পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ‘বাংলাদেশের উচিত সুযোগটি গ্রহণ করা, কারণ এর ফলে সে সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ঘরের কাছেই পাবে।’ তাহলে কি ভারত তার অস্ত্র বিক্রির জন্য একটি বাজার খুঁজছে? বাংলাদেশ সম্ভবত সহজ ক্রেতা হতে যাচ্ছে।

তারা বলছে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জন্য অস্ত্র তৈরিতে অগ্রগতি লাভের একটি সুযোগ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ‘ব্র্যান্ড বাংলাদেশ’-এর উন্নতি করতে পারবে, উচ্চমানের প্রযুক্তির উৎপাদক হতে পারবে।

বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলছে, ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিটির কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। মনে হচ্ছে, পরিকল্পিত চুক্তির প্রধান আগ্রহের বিষয় হবে প্রযুক্তি হস্তান্তর, যৌথ অস্ত্র উৎপাদন এবং অস্ত্র বিক্রি। এটা তৃতীয় কোনো দেশ থেকে অস্ত্র আমদানির সব জানালা বন্ধ করে দেবে।

ঢাকায় শীর্ষ স্থানীয় একটি বাংলাদেশি দৈনিকের আয়োজনে হওয়া এক সাম্প্রতিক সেমিনারে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মনিরুজ্জামান প্রস্তাবিত চুক্তিটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘এ ধরনের সামরিক সহযোগিতার প্রয়োজন কেন হলো বা কেন ভারত এই চুক্তিটির জন্য চাপ দিচ্ছে তা পরিষ্কার নয়। ভারতীয় মিডিয়া যৌথ উৎপাদন নিয়ে কথা বলছে। এর অর্থ হলো আমাদের কেনাকাটার ওপর কিছু সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

সবসময়ই ছোট দেশগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। এটা আমাদের অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের সময় জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’

মনিরুজ্জামান আরো বলেন, ‘নেপালের সাথে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী তৃতীয় দেশ থেকে অস্ত্র কেনার আগে প্রথম পক্ষের সাথে আলোচনা বাধ্যতামূলক। চীনের কাছ থেকে নেপালের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনা আটকে দিয়েছে ভারত।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে এ ধরনের চুক্তি করার সময় এ ধরনের কোনো বিধিনিষেধ থাকে কিনা তা দেখাটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি আহসান প্রশ্ন করেন, ‘একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি হঠাৎ করে এত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠলো কেন? আমরা যদি ঘনিষ্ঠ বন্ধুই হয়ে থাকি, তবে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, জঙ্গিবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় বন্ধুত্বপূর্ণ পন্থাই অবলম্বন করতে পারি। আমরা সবসময় ভারতকে বেশি দিয়ে এসেছি। আমরা তাদের উত্তরপূর্বের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান গ্রহণ করেছি, তাদেরকে ভারতের হাতে হস্তান্তর করেছি। এ ধরনের কারিগরি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কারিগরি পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। উৎসঃ  ইন্টারনেট ।

Logo-orginal