, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

Avatar 1prewettmary1987

সাতকানিয়ায় প্রাইভেট না পড়ায় পরীক্ষার খাতায় নম্বর কর্তনের অভিযোগ

প্রকাশ: ২০১৭-০৮-২১ ১৯:৫৩:৫৯ || আপডেট: ২০১৭-০৮-২১ ১৯:৫৬:১৬

Spread the love

1914794_750555551711672_9047019767312948271_n

সিনিয়র রিপোর্টার, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছদাহা কেঁওচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জামাল হোসেন প্রাইভেট পড়ার সুবাদে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বেশী দেয়া আর প্রাইভেট না পড়ায় নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক জামাল হোসেন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ার জন্য বাধ্য করেন, যদি প্রাইভেট না পড়ে তাহলে পরীক্ষার খাতায় যতই ভাল লিখুক, কোন লাভ নাই। ঠিকঠাক লিখেও নম্বর পাওয়া যায় কম। এমনকি পাশ করাই মুশকিল হয়।

এমনই পরিস্থিতির শিকার বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

জানা যায়, ২০১৭ সালের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণীর বিজ্ঞান খাতায় যারা প্রাইভেট পড়েনি তাদের নম্বর কমিয়ে এবং পছন্দের ছাত্রীকে (যাদের তিনি প্রাইভেট পড়ান) সুবিধা মত নম্বর দিয়ে দেন। প্রায়ই পরীক্ষায় এমন ঘটনা ঘটছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্রী জানান, “প্রাইভেট না পড়ায় স্যার (জামাল) আমাদের খাতায় নম্বর কম দিয়েছে। অথচ আমাদের মতো লিখেও যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের খাতায় নম্বর বেশী দিয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আছি।

সূত্রে জানা যায়, মো. জামাল হোসেন বিদ্যালয়ের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে একের পর এক অনিয়ম করেই চলেছে। শুধু চলতি বছরের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এমন পরিস্থিতির শিকার তা নয়, ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে যারাই বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়া করেছে তাদের অধিকাংশকে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় খাতায় নম্বর কম দেয়া, ফেল করিয়ে দেয়াসহ এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতায় টাকার বিনিময়ে স্বাক্ষর করার অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক অলি উল্লাহ বলেন, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম বেশী করা অপরাধ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেলে পরীক্ষার খাতা পূর্ণমূল্যায়ন করে দোষী হলে দায়ী শিক্ষকের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করা হবে।

Logo-orginal