, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কুর্দি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ঔদ্ধত্য

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২১ ১৪:২২:১২ || আপডেট: ২০১৭-০৯-২১ ১৪:২২:১২

Spread the love
আফগানিস্তান-পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য, পারস্য ও আফ্রিকার মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে যে নানামুখী সন্ত্রাস, তার একটি অন্যতম প্রধান কারণ প্রতিটি দেশের শাসকগোষ্ঠীর চরম অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। জাতিগত নিপীড়ন, ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ঔদ্ধত্য, ধর্মীয় গোঁড়ামি
কুর্দি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ঔদ্ধত্য: প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ।
কুর্দি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ঔদ্ধত্য
কুর্দি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ঔদ্ধত্য
প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ

কুর্দিরা ইরানি ভাষাভাষীদের একটি গোষ্ঠী, যারা মূলত কুরমানজি (kurmenji) ও সোরানি (sorani) নামক দুইটি ভাষায় কথা বলে। ‘কুর্দ’ একটি আরবি শব্দ, মুসলমানদের পারস্য জয়ের পর এ বিশেষ জাতিগোষ্ঠীকে বোঝাতে আরবরা কুর্দ বা কুর্দি শব্দটির ব্যবহার শুরু করে। কুর্দি শব্দের অর্থ তাঁবুবাসী বা যাবাবর। তারা উত্তর-পশ্চিম ইরানের পার্বত্য অঞ্চলের বাসিন্দা, যারা ১৬০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই একটি বিশিষ্ট জাতিগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। তারও আগে ১২০০ শতকে আয়ুবি বংশের শাসনকালে মহান সালাহউদ্দিন (১১৭১-১২৫০) এর সহায়তায় সিরিয়া, মিসর ও ইয়েমেনে অনেক তুর্কি গোত্রপ্রধানের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা পায়। কারণ তারা মহান সালাহউদ্দিনের সঙ্গে ক্রুসেডবিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
সুদূর অতীতের ইতিহাস পরিভ্রমণ না করেও বিংশ শতকজুড়ে কুর্দিদের যে ঐতিহাসিক উত্থান, যা ছিল অনেক রক্তাক্ত, দমন-পীড়ন, নানামুখী ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার। মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক অস্থিরতার অনেক কারণের মধ্যে কুর্দিদের প্রতি সমসাময়িক রাষ্ট্র ও আধিপত্যবাদী শাসকগোষ্ঠীর আচরণ উল্লেখযোগ্য ইন্ধন যুগিয়েছে। বিংশ শতাব্দীব্যাপী কুর্দিরা তুর্কি, ইরানি, ইরাকি এবং সিরিয়ার শাসকদের বিরুদ্ধে অবিরাম যুদ্ধ করে আসছে; অথবা ওইসব আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলো এ সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ওপর বরাবরই নিষ্ঠুর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। চালিয়েছে নির্মম দমন-পীড়ন, যা তাদের বাধ্য করেছে নানা বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মেলাতে।
কুর্দিরা মূলত সুন্নি মুসলমান। ইরাকের মসুল, কিরকুক এবং কানাকুনে এরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে ২০০৬ সালের সংবিধানের আওতায় বর্তমানে একটি পৃথক স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়েছে। যাকে ‘কুর্দিস রিজিয়নাল গভর্নমেন্ট (KRG)’ নামে পরিচয় দেয়া হয়। বর্তমানে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ, ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশে ইরানের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ, সিরিয়ার উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অংশে তাদের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ এবং ইরাকে মোট জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দি জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এ চারটি রাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী মোট অঞ্চলের প্রায় ৭৪ হাজার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ কুর্দি জনগোষ্ঠীর বাস। তারা যে একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে আসছে, তার নাম দেয়া হয় ‘কুর্দিস্তান’, যা মূলত বর্তমানে ওই চারটি রাষ্ট্রের করতলগত। তাই কুর্দিস্তান একটি ধারণা মাত্র। কিন্তু চার রাষ্ট্রে বা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকলেও তারা নিজেদের একটি অভিন্ন জাতি হিসেবে মনে করে।
কুর্দিদের স্বপ্নভঙের শুরু হয় বিংশ শতকের প্রথমার্ধে তুরস্কে এবং একবিংশ শতকের প্রথম দশক থেকে আবার তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। প্রথম মহাযুদ্ধকালীন (১৯১৫-১৯১৮) কুর্দিরা ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়ে তাদের জাতীয়তার স্বীকৃতির দাবিতে সোচ্চার হয়। ১৯১৯ সালে প্যারিস শান্তি সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন তুরস্কের অধীন সব অতুর্কি জাতিসত্তার স্বীকৃতির প্রশ্নটি মীমাংসার আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২০ সালে ফ্রান্সে সম্পাদিত ‘তুর্কি শান্তি’ চুক্তিতে কুর্দি রাষ্ট্রের পক্ষে সম্মতি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু একই চুক্তি নবায়নের উদ্দেশ্যে আরও বিস্তৃত পরিসরে যে চুক্তিটি ১৯২৩ সালে সুইজারল্যান্ডের লুসানে সম্পাদিত হয়, সে চুক্তিতে কুর্দি স্বায়ত্তশাসন সম্পর্কিত বিষয়টি পুরোপুরি চেপে যাওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় মিত্র ও অমিত্র (ইতালি ও স্পেন) সবাই যে ভাগাভাগির রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্ধারণ করে, তাতে কুর্দিদের জন্য কোনো স্থান রাখা হয়নি। আবার তুর্কি রাষ্ট্রের বা অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কুর্দিদের স্বায়ত্তশাসনেরও সুস্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত বা নির্দেশনা রাখা হয়নি। বরং এক পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব ইউরোপীয় মিত্র শক্তি তুর্কিদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কুর্দিদের রাজনৈতিক সংগঠন ‘পার্টিয়া কারাকারয়েন কুর্দিস্তান (PKK)’-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে। অবশ্য জাতিসংঘ, সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, ভারত ও চীন PKK-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে। ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত বিদ্রোহকে কঠোরহস্তে দমন করা হয়। কুর্দিদের সংগ্রাম ভয়ংকরভাবে সশস্ত্র রূপ নেয় এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্তই এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা বজায় থাকে। তুর্কি সরকার প্রায় ৩ হাজার কুর্দি গ্রাম নিশ্চিহ্ন করে দেয়। হাজার হাজার কুর্দি দেশান্তরিত হয়। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তুরস্কে কুর্দি ভাষা নিষিদ্ধ থাকে। ১৯৯৪ সালে একমাত্র কুর্দি এমপি লায়লা যানাকে ১৫ বছরের কারাদ- দেয়া হয়।

২০০০ সালের পর থেকে কুর্দি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বহু দমন-পীড়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ২০১৫ এর নির্বাচনে মাত্র ৩ বছরব্যাপী গঠিত ‘কারডিস পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (HDP)’ তুরস্কের মোট ভোটের ১৩ শতাংশ এবং ৫৫০ আসনের পার্লামেন্টে ৮০টি আসন লাভ করে। এখানে কুর্দিদের পক্ষে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, তা হচ্ছে ১৯৯২ সালে নেলসন ম্যান্ডেলাকে তুরস্কের সরকার ‘কামাল আতাতুর্ক শান্তি’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। নেলসন ম্যান্ডেলা কুর্দি জনগোষ্ঠীর প্রতি নির্যাতন ও নিবর্তনের প্রতিবাদে তুরস্ক সরকারের এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।

ইরাকের কুর্দি দমন এবং তার মাশুল
আগেই বলা হয়েছে, ইরাকের মোট জনগোষ্ঠীর ১৭ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দি বংশোদ্ভূত। তারা উত্তর ইরাকের তিনটি প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাছাড়া বাগদাদ এবং দক্ষিণ ইরাকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক (প্রায় ৪ লাখ) কুর্দি গোষ্ঠীজাত মানুষ বসবাস করে। মোস্তফা ডারথানির নেতৃত্বে ইরাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কুর্দি স্বাধীনতার জন্য ১৯৬০ সাল থেকে তারা নতুনভাবে পুরনো বিদ্রোহ শুরু করে। ১৯৭০-এ একটি শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয় এবং ইরাক সরকার চার বছরের এ চুক্তি বাস্তবায়ন অস্বীকার করেছিল। সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে চুক্তির বিষয়টিকে একরকম ধামাচাপা দিয়ে ইরাকি সরকার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে অভিবাসনের মাধ্যমে ‘আরবিকরণ’ শুরু করে। ১৯৭৪ সালে পুনরায় কুর্দিদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ শুরু হয়। ইরাক কুর্দি দমনের উদ্দেশ্যে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যে চুক্তিটি ‘আলজিয়াস চুক্তি’ নামে খ্যাত। এ চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার সীমান্তবর্তী কুর্দি অঞ্চলের সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সালের  মধ্যে ধারণা করা হয়, প্রায় ২ লাখ কুর্দিকে বাস্তুচ্যুত করা হয় এবং ওইসব এলাকায় আরবদের পুনর্বাসন করা হয়। ১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ শুরু হলে কুর্দিরা পুনরায় সে সুযোগে গৃহযুদ্ধ শুরু করে। পুনরায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নেমে আসে কুর্দিদের ওপর এবং নির্বিচারে কুর্দি গ্রাম ধ্বংস করা হয়। এভাবে ১৯৮৮ এবং ১৯৯১-এ নতুন নতুন অভিযান চলে। কুর্দিদের ওপর সাদ্দাম হোসেন রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ করে বলে ধারণা করা হয়। তার পরের ঘটনা সবারই জানা। ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, তাতে সঙ্গত কারণে ইরাকের শিয়া জনগোষ্ঠী এবং কুর্দিরা ইঙ্গ-মার্কিন সামরিক শক্তির সঙ্গে মিলিত হয় এবং ইরাকের দীর্ঘদিনের শাসক সাদ্দাম হোসেন সবংশে নির্মূল হন। এতে সামগ্রিকভাবে যে ইরাকে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা নয়। কিন্তু নতুন শাসন ব্যবস্থায় কুর্দিরা ১৭০০ বর্গমাইলের একটি বিশেষ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় এবং কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় ও সংখ্যার হিসাবে যা পাওয়ার তার চেয়ে বেশি দাবি করতে থাকে। মূলত ইরাকে এখন শিয়া ও কুর্দিদের যৌথ শাসন চলছে। ২০০৬ সালে কুর্দি নেতা জালাল তালেবানি স্বল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।

 

সিরিয়ার কুর্দি নির্মমতার মাশুল এখনও শেষ হয়নি
সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ (১৫ লাখ) কুর্দি মুসলমান এবং তারা মূলত সুন্নি মুসলমান; কিন্তু অনারব। সিরিয়ার উত্তর ও পূর্ব প্রান্তে তাদের বসবাস। তাছাড়া আলেপ্পো ও দামেস্কেও অনেক কুর্দির বসবাস। সিরিয়ায় কুর্দিদের অবস্থা বাথ পার্টির শাসনকালে অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ নেয়। কুর্দিদের কোনো রাজনৈতিক সংগঠন করতে দেয়া হয়নি। কুর্দি ভাষা ব্যবহারে ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। বিদ্যালয়ে কুর্দি ভাষা ব্যবহার হয় না। কুর্দি ভাষায় কোনো বইপুস্তক এবং পত্রপত্রিকা প্রকাশের অনুমতি নেই। এমনকি কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড পর্যন্ত কুর্দি ভাষায় লেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা।
বর্তমানে বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, তাতে কুর্দিরা অন্যান্য বিদেশি শক্তির সহায়তায় লড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা আল কায়দা বা তালেবানি শাসনেরও বিরোধী ছিল।

 

বর্তমান ত্রিশঙ্কু অবস্থায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করা কিছুটা দুরূহ।
শিয়া ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশে কুর্দিরা এক ধরনের স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে, ফলে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় সেখানে ঘটেনি। যদিও সুন্নি কুর্দিদের ইরান সঙ্গত কারণে ভালো চোখে দেখে না। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে গণতন্ত্র চর্চায় তারা যেহেতু ওই অঞ্চলের অন্যদের তুলনায় অগ্রসর, সেখানে তাই বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। উপসংহারে যে বিষয়টির ওপর পুনরায় জোর দিতে চাই তা হচ্ছে, আফগানিস্তান-পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য, পারস্য ও আফ্রিকার মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে যে নানামুখী সন্ত্রাস, তার একটি অন্যতম প্রধান কারণ প্রতিটি দেশের শাসকগোষ্ঠীর চরম অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। জাতিগত নিপীড়ন, ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ঔদ্ধত্য, ধর্মীয় গোঁড়ামি। এখানে একেক সময় একেক দেশে বিশেষ একটি কারণ প্রধান বলে মনে হলেও মূল কারণ শাসকগোষ্ঠীর অনুদার ও অসহিষ্ণু মনোভাব এবং ক্ষমতা রক্ষার নিষ্ঠুর ও রক্তপাতাশ্রয়ী কৌশল ও কর্মপন্থা। কুর্দি জাতির গেল ১০০ বছরের ইতিহাস ওই অঞ্চলে অসহিষ্ণু, অনুদার ও নিষ্ঠুরতম ক্ষমতাদ্বন্দ্বের একটি সাক্ষী।

 

১০০ বছর পর এখন লাখ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে রাজনৈতিক সমঝোতা হচ্ছে। এ ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা, সাংবিধানিক ও শাসনতান্ত্রিক সংস্কার আরব বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রয়োজন। তাহলে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ধর্মাশ্রয়ী সন্ত্রাসও কমে যাবে।

Logo-orginal