, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির মধ্যে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী যশোরের চাকরি মেলায় এসে হতাশ

প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৬ ০৮:১৫:৫৪ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৬ ০৮:১৫:৫৪

Spread the love
অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির মধ্যে  হাজার হাজার তরুণ-তরুণী যশোরের চাকরি মেলায় এসে হতাশ
অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির মধ্যে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী যশোরের চাকরি মেলায় এসে হতাশ

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, নিউজ ডেস্কঃ   নানা রকম অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির মধ্যে  হাজার হাজার তরুণ-তরুণী গতকাল বৃহস্পতিবার যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের চাকরি মেলায় এসে হতাশ হন। কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনা আর পুলিশের বাড়াবাড়ির কারণে অধিকাংশ চাকরি প্রত্যাশী নিজেরা পছন্দ করে কোনো কোম্পানির কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

পার্কের সামনে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে তারা দিগ্বিদিক উদ্দেশ্যহীনভাবে ছোটাছুটি করেছেন। কিন্তু তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহের জন্য মেলা ভবনের অভ্যন্তরে যেতে চাইলে পুলিশ সাংবাদিকদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল সাংবাদিকদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী তরুণী নাজেহাল হয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাকরিপ্রার্থীরা গেটের মুখে পুলিশ সদস্যদের কাছে রাখা একটা কার্টনে তাদের বায়োডাটা রাখতে বাধ্য হন। মেলা ভবনে অনুষ্ঠিত সেমিনার ও কর্মশালাতেও তাদের ঢুকতে দেয়নি ওই পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশের দায়িত্বরত দলটি।

সকালে পার্কের ক্যান্টিন ভবন মিলনায়তনে দিনব্যাপী ‘চাকরি মেলা’ উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরে আইটি সেক্টরে প্রশিক্ষণ দিয়ে ৩ লাখ তরুণ-তরুণীকে দক্ষ করে তোলা হবে। আর ২০২১ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তাই আইটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কাউকে আর কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবতে হবে না।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসেনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাজি নাবিল আহমেদ এমপি, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান, শেখ হাসিনা হাইটেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন।

এর আগে চাকরি মেলায় বায়োডাটা জমা দিতে সকাল থেকেই সফটওয়্যার পার্কে আসতে শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণীরা। দুপুর ১২টার মধ্যে অন্তত ২০ হাজার তরুণ-তরুণী সেখানে জড়ো হন।  সুত্রঃ ইত্তেফাক।

Logo-orginal