, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৪ ১৮:০৮:০১ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৪ ১৮:০৮:০১

Spread the love
বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, সোশ্যাল মিডিয়া  ডেস্কঃ    বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’ এভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে বন্দুকসহ ফেসবুকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দুই ছাত্রলীগ নেতার ছবি আপলোড করার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। সংবাদ দৈনিক যুগান্তরের ।

উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন সামনে রেখে এই ঘটনাকে অশনিসংকেত হিসেবে দেখছে সেখানকার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় চলতি বছরের শেষ দিকে সেখানে সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা দেয় জেলা ছাত্রলীগ।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অর্ধডজনের বেশি প্রার্থী থাকলেও এদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন সভাপতি প্রার্থী প্রসেনজিৎ দাস অপু এবং সম্পাদক প্রার্থী কাওসার মাহমুদ মুন্না।

রোববার রাতে সভাপতি প্রার্থী প্রসেনজিৎ দাস অপু এবং সম্পাদক প্রার্থী কাওসার মাহমুদ মুন্না বন্দুক হাতে নিশানা তাক করে নিজেদের আলাদা আলাদা ছবি তোলেন। বন্দুক হাতে ওই ছবি তারা রোববার রাত ১১টা ২১ মিনিটে নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেন।
‘টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’
সেইসঙ্গে ছবির উপরে লেখেন, ‘বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’।

প্রতিপক্ষকে এভাবে প্রকাশ্য হুমকিসংবলিত ওই লেখাসহ বন্দুক হাতে নিজেদের তিনটি ছবি কাওসার মাহমুদ মুন্না তার ওয়ালে পোস্ট করে সেটা প্রসেনজিৎ দাস অপুকে ট্যাগ করেন। অপু ছাড়াও বন্দুক হাতে আলাদা আলাদা তিনজনের ছবিসহ ওই পোস্টটি যুবলীগ নেতা মিন্টু এবং কাওসার মাহমুদ নামে নিজের আরেকটি ফেসবুকে আইডিতেও ট্যাগ করেন মুন্না।

এর পরপরই আপলোড করা ওই ছবি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।

সোমবার ও মঙ্গলবার দিনভর এই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে ফেসবুকসহ সর্বত্র।

ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্রমৈত্রীর একাধিক নেতা জানান, ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতারা এই ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে।

বাবুগঞ্জ ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতা মো. সোহেল আহমেদ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসীরা আজ দলে বিভিন্ন পন্থায় অনুপ্রবেশ করে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল অতীত ঐতিহ্য ম্লান করার চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগের কোনো আদর্শ এদের মাঝে নেই।

তিনি বলেন, এরা সুযোগ সন্ধানী হিসেবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অতিথি পাখির মতো ছাত্রলীগে প্রবেশ করে। এদের ব্যাপারে এখনি দলের হাইকমান্ড সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে এরা আওয়ামী লীগের জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রসেনজিৎ দাস অপু এবং কাওসার মাহমুদ মুন্না যুগান্তরকে বলেন, কাউকে হুমকি নয় বরং দুষ্টামির ছলে এমন ছবি ফেসবুকে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ‘বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’-এ কথাটি কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়নি।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখন পর্যন্ত কিছু জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

Logo-orginal