admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৭ ২০:৫৬:৩১ || আপডেট: ২০১৭-১১-১৭ ২০:৫৬:৩১
ফেনী: জয়নাল হাজারীর ইকবাল সোবহান চৌধুরীর প্রতি সমর্থন দেওয়ার সংবাদগ্রকাশ হওয়ার পর,নতুন নেতৃত্বের আভাসের সত্যতা পাওয়ার পরপরই যেনো বদলে যেতে থাকে ফেনীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি।আতংক দেখা দিয়েছে নিজাম হাজারীর রাজনৈতিক শিবিরে। প্রতিবেদন টাইমসবিডিনিউজের।
ফলে রাজনৈতিক কৌশল পালটে পুলিশ দিয়ে দমনের পথে হাঁটা শুরু করছে নিজাম হাজারী এমন ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এতদিন জয়নাল হাজারী ইকবাল সোবহান চৌধুরীর প্রতি সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি গনমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ও তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হয়নি।টাইমস বিডি নিউজে হাইকমান্ডের ইংগিত এবং ফেনীর সাবেক ছাএনেতা ও সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আরজু, সাখাওয়াতের সমর্থনে প্রাণ ফিরে পায় ফেনীর রাজনীতি।আর খোজ খবর নিয়ে ইংগিতের সত্যতার প্রমান পেয়েই নিজ দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে প্রশাসনকে ব্যবহার করার ইংগিত পাওয়া গেল।
তার প্রমাণ মেলে নিজাম হাজারীর ট্রিগার পয়েন্টে থাকা আযহারুল হক আরজুর বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশীর নামে ব্যাপক ভাংচুর চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ফেনী সদর থানার ওসি রাশেদ খানের বিরুদ্বে।কথিত আছে ওসি নিজাম হাজারীর বি-টীম ।ওসির নেতৃত্বে ফেনী ধর্মপুর ইউনিয়নে একাধারে ১৯বছরেরর সাবেক চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা ছাএলীগ,যুবলীগ সাবেক সভাপতি এম,আযহারুল হক আরজুর বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশীর নামে ব্যাপক ভাংচুর ও দূ:ব্যবহার করার অভিযোগ উঠায় পুলিশের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ব ।
নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপওা চাওয়ার ২ দিনের মাথায় এমন তল্লাশির নামে ব্যাপক ভাংচুর তারই প্রমাণ দিচ্ছে।ওসি রাশেদ খানের বিরুদ্বে নিজাম হাজারী পক্ষে কাজ করা এবং পূর্বে মিরশরাই সাবেক ওয়ার্ড ছাএদলের সভাপতি পদে থাকার অভিযোগ খোদ সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের দীর্ঘদিনের ।
অভিযোগ উঠা ফেনী সদর থানার ওসি রাশেদ খান কে তল্লাশীর নামে ভাংচুর,তান্ডবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:- আযহারুল হক আরজুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায়,এবং আইনের প্রক্রিয়ায় তল্লাশি করেন বলে জানান।
ওসি আরো বলেন তল্লাশীর সময় নাছির মেম্বার নামে এক ব্যক্তিকে সাথে রাখার কথা জানান। কেন তল্লাশীকালে প্রতিবেশীদের না ডেকে,বহিরাগত লোক সাথে রাখা হলো এবং আরজুর পরিবারের অভিযোগ কি তাহলে সত্য? এমন প্রশ্নে ওসি রাশেদ বলেন বহিরাগত কেউ ছিল না। এত দিন এতব্যাপক পুলিশ নিয়ে তল্লাশি করেননি,সাংবাদিক সম্মেলনের পর কেন এতটা মরিয়া হলেন? আর আরজু বাড়ীতে নেই, জানার পরে ও কেন এই পুলিশি অভিযান, নাকি কারো নির্দেশ পালন করার চাপ ছিল ? এমন প্রশ্নে তিনি কথাটি সত্য নয় বলে, কোনকথা বলার সুযোগ না দিয়ে লাইন কেটে দেন।পুলিশের সাথে বহিরাগত লোক থাকার কথা প্রতিবেশীদের ভাষ্যে উঠে এলে ও ওসির অস্বীকার!
১৫ই নভেম্বর বুধবার রাত ২টায় এই তল্লাশীর নামে ভাংচুর করার সত্যতা পাওয়া গেলে ও স্বীকার করতে রাজী নয় প্রশাসন।লোকজন গভীর রাতে তল্লাশীর নামে ভাংচুর আঁচ করতে পেরে ঘর থেকে বের হয়ে জড়ো হওয়া আরম্ভ করলে দ্রুত কেটে পরে পুলিশ। আরজুর বাড়ীর দিকে এলাকাবাসী গিয়ে ভাংচুরের তান্ডব দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তার অনুসারীদের রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নিলে,আরজু তার অনুসারীদের শান্ত থাকার আহবান জানান।
আরজু বলেন:- আমি নেই জানে,।তবু এই তল্লাশী নাটক। পুলিশের সাথে নিজাম হাজারীর ক্যাডার থাকার মানে কি ?আরজু মোবাইলের লাউডস্পিকারে তার অনুসারীদের কোন প্রকার রাস্তাঘাট অবরোধ না করতে আহবান ও সবাইকে ধন্যবাদ ও শান্ত থাকতে বললে জনগন শান্ত হয়।
ছাএলীগ,যুবলীগ নেতাকর্মীররা ইতোপূর্বে ওসির বিএনপিপন্হী হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করলে,কোন এক অদৃশ্য কারনে পার পায় ওসি রাশেদ খান।ওসি নিজ দলীয় কর্মীদের মামলার আসামী করে,।নির্বাচনে দল কর্মীশূন্য করার ঘৃন্য চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ আওয়ামীলীগের তৃণমূল কর্মীদের ।
তাদের অভিযোগের সত্যতা জানতে, ফেনী জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শিসেন চন্দ্র দাশের কাছে জানতে চাইলে,তিনি এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান। তিনি বার বার প্রতিবেদকের নাম জানতে চাইলে, নাম বলার পর পরই লাইন কেটে দেন ।
ফেনী জেলা তাতীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান মিঠু টেলিফোনে প্রতিবেদককে বলেন:-গতকাল ফেনী জেলায় নতুন নেতৃত্বেসাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম ও জয়নাল হাজারীর সমর্থন হাইকমান্ডের আভাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ফেনীবাসী অনলাইন সংবাদের হাজার শেয়ার মাথা নষ্টের কারণ হয়ে যায় নিজামের।
ফেনী জেলার আইনশৃঙ্খলা, ওসি রাশেদ খানের বিরুদ্বে অভিযোগ,সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা, পুলিশের প্রশ্নবিদ্ব আচরনে লোকাল এসপির কি ভূমিকা গ্রহণ করেছে ,জানতে অফিসের লেন্ডফোন থেকে বেশকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি ।