admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-০২ ০০:০৯:৫৬ || আপডেট: ২০১৭-১১-০২ ০০:০৯:৫৬
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে বৈবাহিক স্বীকৃতির দাবিতে ছেলের বাড়িতে অনশন! করছেন এক কিশোরী।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১২ নং সালন্দর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মুন্সিপাড়া গ্রামে বুধবার (১ নভেম্বর) এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে জানা যায় যে, সালন্দর তেলিপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে নাসরিন আক্তারের (১৭) এর সাথে মুন্সিপাড়া গ্রামের আইনুল ইসলামের ছেলে পারভেজ আহমেদের (১৭) প্রায় আড়াই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ৩ জুলাই তারা পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়।
মেয়ের ভাষ্যমতে, গত পরশুদিন রাতে ছেলে মেয়েকে একসাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় মেয়ের পরিবারের লোকেরা দেখে ফেলে। তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক জানার পরে মেয়ের বাবা মেয়েকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এমতাবস্থায় মেয়ে কোনো উপায় না পেয়ে ছেলের বাসায় এসে অবস্থান নেয়। কিন্তু ছেলে তার আগেই বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হয়। পরবর্তীতে ছেলের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আর যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে মেয়েটিকে ছেলের পরিবারও মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। উপায়ান্তর না দেখে মেয়েটি ছেলের বাড়িতে বৈবাহিক স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান শুরু করে।
সত্যতা স্বীকার করে ১২ নং সালন্দর ইউনিয়নের ৮ নং সালন্দর ওয়ার্ড কমিশনার আলতাফ হোসেন জানান, ছেলে-মেয়ের বিবাহ হয়েছে এবং তাদের সম্পর্ক পুরোপুরি বৈধ। কিন্তু মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনোপ্রকার দায়িত্ব নিতে তারা এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষ্য প্রদান করেননি। এছাড়াও মহিলা ওয়ার্ড কমিশনারকে এলাকাবাসী বারবার ফোন করা স্বত্ত্বেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি।
ছেলের পরিবারের লোকেরা জানায়, মেয়ে যদি বিয়ের সুস্পষ্ট দলিল দেখাতে পারে তাহলে আমরা মেয়েকে স্বীকৃতি প্রদান করবো।
তবে সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলার সময় ছেলের পরিবার বারবার দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করে। এমনকি, বাড়ির বারান্দাতে বসতে দিতেও অস্বীকৃতি জানায় তারা।
এমতাবস্থায়, অসহায় মেয়েটি কোনো কুলকিনারা পাচ্ছেনা এবং কি করবে সেটিও বুঝতে পারছেনা। অসহায় মেয়েটি কার দায়িত্বে থাকবে? আদৌ কি সে বৈবাহিক স্বীকৃতি পাবে, নাকি এভাবেই দ্বিধাহীনতায় থাকবে মেয়েটি? এ দায় কার?