, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেই সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা: প্রেসিডেন্ট রুহানি”

প্রকাশ: ২০১৭-১২-১১ ০১:০৯:০৭ || আপডেট: ২০১৭-১২-১১ ০১:০৯:০৭

Spread the love

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেই সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা: প্রেসিডেন্ট রুহানি”
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, নিউজ ডেস্কঃ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিন্ন এবং ইয়েমেনে চলমান আগ্রাসন বন্ধ করলে সৌদি আরবের সঙ্গে তার দেশ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। রবিবার ইরানের পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসরাইলের প্রতি আনুগত্য বন্ধ করার পাশাপাশি নিজের এবং আঞ্চলিক জাতিগুলোর ওপর আস্থা ও নির্ভরশীলতা বাড়ালে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।

রুহানি বলেন, সৌদি আরবের উচিত দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনি জনগণের ওপর নির্বিচারে বোমা হামলা বন্ধ করা এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য যে দৌড়ঝাপ করছে সেখান থেকে সরে আসা। তিনি বলেন, “আমরা সৌদি আরবের কাছ থেকে দু’টি জিনিস প্রত্যাশা করছি। আর তা হলো ইসাইলের সঙ্গে বিভ্রান্তমূলক বন্ধুত্ব ছিন্ন করা এবং ইয়েমেনের ওপর অমানবিক বোমা বর্ষণ বন্ধ করা।”

রুহানি তার অন্য এক বক্তব্যে জেরুজালেম খ্যাত আল কুদস বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তার এ পদক্ষেপ বিনা জবাবে ছেড়ে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো পরাজিত হওয়ার পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সহযোগিতায় আমেরিকা নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পবিত্র আল কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাস বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত একটি আগ্রাসন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইসরাইলের পক্ষে গোপন তৎপরতা সৌদির, উদ্বিগ্ন ফিলিস্তিনিরা

জেরুসালেম: ইসরাইলের জন্য সৌদি আরব পর্দার আড়ালে থেকে যে তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের নেতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিলিস্তিনের অন্তত চারজন নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর দরকষাকষির যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাতে সৌদি আরবের সমর্থন রয়েছে যা সরাসরি ইহুদিবাদী ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করবে।

ফিলিস্তিনের চার নেতা শুক্রবার রয়টার্সকে জানান, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন যা বাস্তবায়ন করলে শরণার্থী হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দেশে ফেরার সুযোগ থাকবে না এবং ভবিষ্যত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হতে পারবে না বায়তুল মুকাদ্দাস। তারা বলেছেন, এ প্রস্তাব এতটাই ইসরাইলের পক্ষে যায় যে, তাতে ফিলিস্তিনের স্বার্থ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে প্রস্তাবটির বিষয়বস্তু পরিষ্কার করে জানান নি তারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাই জারেদ কুশনার এ প্রস্তাব তৈরি করেছেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের মাধ্যমে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। কুশনার হচ্ছেন ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং তিনি ইহুদি।

ফিলিস্তিনিদেরকে জেরুজালেমের অধিকার ছাড়তে বলল সৌদি আরব

ফিলিস্তিনিদেরকে জেরুজালেমের অধিকার ছাড়তে বলেছে ইসরাইলের মিত্র সৌদি আরব। সেইসাথে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য জেরুজালেমের পরিবর্তে অন্য একটি স্থানকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে বেছে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে আরব রাষ্ট্রটি।

অধিকৃত জেরুজালেমের পাশেই ফিলিস্তিনের আবু দিস শহরকে এর রাজধানী হিসেবে বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরব। এদিকে সৌদি আরবের প্রস্তাবের পক্ষে ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জেরুজালেমই আমাদের রাজধানী’ বলে হ্যাশটেগ দেয়া শুরু করেছে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত মাসে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের রিয়াদ সফরকালে সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রস্তাবটি করেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও গাজা অংশের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা একটি আংশিক রাষ্ট্র পাবেন, যার ওপরে তাদের কেবল আংশিক সার্বভৌমত্ব থাকবে এবং পশ্চিম তীরে ইহুদিরা সংখ্যাগুরু হিসেবে থাকবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, প্রস্তাবটিতে সাড়া দেয়ার জন্য সৌদি আরব আব্বাসকে দুই মাস সময় দিয়েছে। #পার্সটুডে।

আবু দিস একটি দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের কাছাকাছি ফিলিস্তিনি শহর। অসলো চুক্তি অনুসারে এটি বি ক্যাটাগরির একটি এলাকা যা ইসরাইল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ উভয় দ্বারা পরিচালিত হয়।

Logo-orginal