, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

নেতানিয়াহুর ভারত সফরের পর মুসলিম বিশ্বকে তুষ্ট করতে মধ্যপ্রাচ্যে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

প্রকাশ: ২০১৮-০১-২৩ ২০:১৫:০৪ || আপডেট: ২০১৮-০১-২৩ ২০:১৫:০৪

Spread the love

নেতানিয়াহুর ভারত সফরের পর মুসলিম বিশ্বকে তুষ্ট করতে মধ্যপ্রাচ্যে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
(ফাইল ছবি) আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, নিউজ ডেস্কঃ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভারত সফরের পর মুসলিম বিশ্বকে তুষ্ট করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর তার এই সফরকে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার সফর হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিন সফরে যাবেন তিনি। সফরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।

একই সফরে তিনি ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন বলেও জানা গেছে।

গত শুক্রবার ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পাঁচ-দিনব্যাপী ভারত সফর শেষ হয়। এরপরই মোদির মধ্যপ্রাচ্য সফরের তারিখ নির্ধারণ করা হয় বলে সূত্র জানায়।

গত পাঁচ দশক ধরে ফিলিস্তিনীদের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে ভারত। ১৯৮৮ সালে দিল্লি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু বিজেপি’র নেতৃত্বে এনডিএ সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের ফিলিস্তিন নীতিতে পরিবর্তন আসে।

গত বছর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরাইল সফর করেন মোদী। তখন তিনি ফিলিস্তিন সফর করেননি। তখন থেকেই ফিলিস্তিনকে কম গুরুত্ব দিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা জোরদারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। এখন নেতানিয়াহুর সফরের পর দুই দেশর মধ্যে কৌশলগত অংশিদারিত্ব আরো জোরদার হয়েছে।

দেশ দুটি সামরিক খাতের বাইরেও তেল ও গ্যাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সাইবার নিরাপত্তা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ খাতে সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে।

তবে গত ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করা প্রশ্নে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। জেরুজালেমের মর্যাদা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সবেচেয়ে বিরোধপূর্ণ ইস্যু। পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় আরব রাষ্ট্রগুলো।

গত বছর মে’তে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দিল্লি সফর করেন। তখন মোদী তাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভারতের ’অবিচ্ছিন্ন সমর্থনের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

Logo-orginal