, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

লাখো মুসল্লির ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় কবরে শায়িত হলেন খুটাখালীর পীর সাহেব

প্রকাশ: ২০১৮-০১-২৩ ১৯:৩৫:০১ || আপডেট: ২০১৮-০১-২৩ ২০:৩০:৫৪

Spread the love
লাখো মুসল্লির ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় কবরে শায়িত হলেন খুটাখালীর পীর সাহেব

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চকরিয়াঃ লাখো মুসল্লির ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় কবরে শায়িত হলেন খুটাখালীর পীর সাহেব শাহছুপি মাওলানা আবদুল হাই (রহঃ)।

আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) বিকাল ৫টায় কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী কিশালয় উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে হুজুরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরো খুটাখালি বাজার ও মাদ্রসা প্রাঙ্গণ জানাজার মাঠে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে মুসল্লিদের উপস্থিতি ।

লাখো ভক্তের অংশগ্রহণে শাহ ছুফি আল্লামা হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাই (রহঃ) এর জানাযায় এক অভূতপূর্ব  দৃশ্য৷ কাঁদতে দেখা গেছে অনেক ভক্তকে ।

সারা বাংলাদেশের মানুষের উপস্থিতি ছিল মরহুমের জানাযায় ।

হাফেজ মাওলানা আবদুল হাই (রহঃ) পীর সাহেব সকলকে কাঁদিয়ে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে গতকাল ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ইং সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের সময় তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী আলহাজ্বা জয়নাব বেগম, ৫ পুত্র যথাক্রমে আলহাজ্ব মাওলানা আনোয়ার হোছাইন, আলহাজ্ব মাওলানা নুর হোছাইন, আলহাজ্ব মো: নুমান, আলহাজ্ব মো: ইসমাইল, আলহাজ্ব মো: দিদারুল ইসলাম, ২ কন্যা ফাতেমা বেগম ও আলহাজ্বা মাহবুবা আল মুবাশারা জেমি (বর্তমানে চট্টগ্রামের সলিমা সিরাজ মহিলা মাদরাসায় কামিলে অধ্যয়নরত)সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক সাতকানিয়া উপজেলার গারাংগিয়ার বড় হুজুরের নির্দেশে তিনি খুটাখালীতে দারুল হুফফাজ হাফেজখানা-এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন এবং খুটাখালী তমিজিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার গর্ভনিং বডির সাবেক সহ-সভাপতিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে হাফেজখানার ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২ শতাধিক।

এছাড়াও তিনি র্দীঘ সময় পর্যন্ত গারাংগিয়ার বড় হুজুর পীর মুর্শিদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে থাকেন। পীর মুর্শিদের মনোন্নয়নক্রমে তিনি গারাংগিয়া দরবারের খলিফা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বলা বাহুল্য যে, বড় হুজুর কেবলা (রহঃ) এর সাথে হাফেজ আবদুল হাই (রহঃ) এর পারিবারিক আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকলেও রক্তের কোন সম্পর্ক ছিলনা। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেড় শতাধিক মসজিদ, হাফেজখানা-এতিমখানা ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

মরহুম পীর সাহেব কেবলা সর্বশেষ ২০১৬ সালে হজ্ব পালন করে শারিরীক অসুস্থতার কারণে আর যেতে পারেনি। জীবনে ১৬ বার হজ্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া বার্মা, ভারত সৌদি আরবসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সফর করেন।

Logo-orginal