, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

admin admin

প্রবাসে ভরে গেছে অদক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিকে, বাড়ছে বেকারত্ব, বাড়ছে হতাশা

প্রকাশ: ২০১৮-০২-১৫ ১৫:৩৭:৫৯ || আপডেট: ২০১৮-০২-১৫ ১৫:৩৭:৫৯

Spread the love

প্রবাসে ভরে গেছে অদক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিকে, বাড়ছে বেকারত্ব, বাড়ছে হতাশা
আবুল কাশেম, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, মধ্যপ্রাচ্যঃ প্রবাসে ভরে গেছে অদক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিকে, বাড়ছে বেকারত্ব, বাড়ছে হতাশা, দিশেহারা অনেকে, সামনের সব স্বপ্নকে কুঁড়িয়ে খাচ্ছে প্রবাস নামের এই জীবনটি ।
হতাশায় নিমজ্জিত মধ্যপ্রাচ্যের কিছু যুবকের অভিব্যাক্তি উপরের লাইনটি, তাদের দুঃখের কথা নিয়ে গল্পের কাহিনী লেখা সহজ, সেই গল্পের কাহিনী পড়ে লেখককে বাহবা দেওয়ার লোকের অভাব নেই সুদুর প্রবাসে ।

আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বসবাসের কারণে অনেক বাস্তব তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, যাহা দেখে আসছি তাহা সত্যি বেদানাদায়ক, সহযোগিতা করার সাধ্যমত চেষ্টা করি, জানিনা কারো উপকার করতে পেরেছি কিনা।

তবে আজ লেখক না হয়েও লিখতে বসেছি জাতি ও দেশের স্বার্থে ।

প্রবাসের অপরিচিত পরিবেশ, অজানা ভাষা, অচেনা মানুষ। নিয়োগদাতাদের সঙ্গে তাই কোন কথায়ই বলতে পারেন না অনেক প্রবাসী শ্রমিক। একদিকে কাজের দক্ষতার অভাব অন্যদিকে নিজের কথা বুঝিয়ে বলতে না পারার সীমাবন্ধতা। এ দুয়ে মিলে মালিক শ্রমিক সম্পর্ক হয়ে উঠে অনেক তিক্ত। সেই তিক্ততার মুখে বিষিয়ে উঠে প্রবাসে কর্মরত বিপূল অসংখ্য অদক্ষ শ্রমিকের জীবন।

তারপরেও স্বপ্নের প্রবাসে ছুটে যায় অংসখ্য অদক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক। কারা যায়? সরকারের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমএটি)এর তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত যারা কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন তাদের শতকরা ৪৯ দশমিক ৬৫ জন শ্রমিকই অদক্ষ। বাকিদের ১৫ শতাংশ শ্রমিক আধা দক্ষ। দক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছেন শতকরা ৩১ ভাগ। আর মাত্র ২ দশমিক ৫ ভাগ রয়েছেন যারা পেশাজীবী।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশী শ্রমজীবী নারীরাও বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন। যদিও তাদের সংখ্যা এখনও অত্যন্ত কম। ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মত ২ হাজার ১শ ৮৯ জন বাংলাদেশী শ্রমজীবি নারী বিদেশে যান কাজ করতে। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর নারী শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়া বন্ধ ছিল। ২০১০ সালে আবারও নারী শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়া শুরু হয়। সেই বছর বিদেশে কাজ করতে গেছেন ২৭ হাজার ৬ শ ৭ জন নারী। ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশী নারী শ্রমিক বিদেশ গেছেন কাজ করতে। এদের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৮ জন। কিন্তু বিদেশের অচেনা পরিবেশ, ভাষা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা আর অদক্ষতার কারনে নারী শ্রমিকরাও বিদেশ গিয়ে পড়ছেন নানা বিড়ম্বনায়। (২)

বাংলাদেশ থেকে গত বিশ-পঁচিশ বৎসর ধরে ভারত বা চীনের মত হারে মানুষ দেশত্যাগ করেন নি। বাংলাদেশীরা প্রধাণতঃ চাকুরী করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে গেছেন। চাকুরীর তালিকাতে পরে কিছু ইউরোপীয় এবং কিছু আসিয়ান দেশ যুক্ত হয়েছে। উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজীল্যান্ডে যারা গেছেন, তারা মূলতঃ থাকার জন্যই গেছেন। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক হারে মধ্যপ্রাচ্য বা আসিয়ান দেশগুলোর তুলনায় তাদের সংখ্যা অনেক কম। যারা চাকুরী করতে যান, তাদের প্রায় সবাই দেশে ফিরে আসেন। যাবতীয় উপার্জনও দেশে নিয়ে আসেন। আর যারা থাকার জন্য যান, তারা তাদের উপার্জনের খুব কমই দেশে পাঠান।

প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বিশেষ কোন স্কিল নেই, অথবা যাদের স্কিল বাংলাদেশে কাজে লাগার উপায় কম, তারা যদি দেশে না ফেরেন তাতে দেশের ক্ষতি হয় কম। তারা যদি দেশে টাকা না ও পাঠান তাতেও দেশের বিশেষ ক্ষতি হয় না। আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটিকে মানবিক চিন্তার পরিপন্থী মনে হলেও, বাস্তবে সে সমস্ত লোক যদি বাংলাদেশে থাকতেন তবে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হত। এরচেয়ে প্রবাসে থাকলে যদি মানবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় তবে তাই মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ভাল।

দেশত্যাগের ব্যাপারে মানবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা, সামাজিক নিরাপত্তা, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, কর্মসংস্থানের সুযোগ, যোগ্যতার মূল্যায়ণ অনেক গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশ তার জনগণের খুব ছোট একটি অংশকে এই বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দিতে পেরেছে। দ্বায়িত্ব কার কি ছিল সে বিতর্কে না গিয়ে যে সহজ সত্যটি আমাদের মেনে নেয়া উচিত তাহলো ঘটনাটি এই আকারেই ঘটেছে। যারা দেশ ছেড়েছেন তারা অনেক কষ্ট নিয়েই দেশ ছেড়েছেন। আপাত আনন্দ নিয়ে যারা দেশ ছেড়েছেন তারাও দেশত্যাগের মর্মবেদনা অচিরেই বুঝেছেন।

কিন্তু যা দিন আসছে তাতে দক্ষ-অদক্ষ সবার জন্যই দেশে মানবিক জীবন যাপন করাটা কঠিন হয়ে পড়ছে। দেশের জনসংখ্যা যদি ০.৫% হারেও বাড়ে তাহলে দেশে প্রতি বৎসর নতুন মুখ যোগ হয় ১৫,০০,০০,০০০X০.৫% = ৭,৫০,০০০ জন। তাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার স্থির থাকলেও তের বৎসরে দেশের জনসংখ্যা আরো এক কোটি বেড়ে যায়। তখন মাথাপিছু থাকার জায়গা নেমে আসবে আগের হিসেব অনুযায়ী ৩৬ বর্গমিটারে। আর সরাসরি ভাগ করলে তা দাঁড়ায় ১৮০ বর্গমিটারে।

এই হারে মাথাপিছু জায়গা কমতে থাকলে একটি প্রজন্ম পুরোপুরি পার হবার আগেই দেশে বিরাট মানবিক, সামাজিক ও পরিবেশগত বিপর্যয় নেমে আসবে। আশাবাদীরা বলতে পারেন আমি অহেতুক ভয় পাচ্ছি, এবং হিসেবগুলি এত সহজ নয়। কিন্তু সহজ অঙ্কের হিসেবকেও উপেক্ষা না করে সময় থাকতে ব্যবস্থা নেয়াইতো বিবেচকের কাজ হবে। যেমন ধরুন, বাংলাদেশের জন্মলগ্নে দেশের জনসংখ্যা যা ছিল বর্তমানে তা দ্বিগুন হয়েছে। অথচ সেই সময় দেশের মোট খাদ্য ঘাটতির পরিমান পরিমানগতভাবে বর্তমানের মোট খাদ্য ঘাটতির কাছাকাছি। অর্থাৎ কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে নিরবে ঘটে যাওয়া একটি বিপ্লব শুধুমাত্র মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য কেউ টেরই পায়নি।

তাহলে এই বিশাল জনসংখ্যার ভার কে নেবে? এটিতো পুরাকাল নয় যে ঐতিহাসিক “গ্রেট মাইগ্রেশন”গুলির মত দেশের একটি বড় অংশ মানুষ অন্য কোন দেশের দিকে রওনা দেবে। এটিতো মধ্যযুগ নয় যে নতুন আবিস্কৃত মহাদেশগুলোতে জাহাজ ভরে লোক পাঠানো যাবে নতুন বসতি স্থাপণ করার জন্য। এটিতো ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের যুগ নয় যে গায়ের জোরে নতুন নতুন উপনিবেশ স্থাপণ করা যাবে, যাতে সেখানে অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভার নামানো যাবে। বিশ্বায়ণের এই যুগে সমাধানটি ভাবতে হবে অন্যভাবে। তেমনই একটি ভাবনা এখানে বলছি।

বিশ্বে এখনো এমন অনেক দেশ আছে যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০০ জন মানুষও নেই। ফলে সেসব দেশে কৃষি ও শিল্প থেকে যা উৎপাদন হওয়া সম্ভব (পরিবেশ বিপর্যয় না করেই) তার এক ভগ্নাংশ পরিমান উৎপাদিত হয়। আবার এমন দেশও আছে যেখানে যে কোন বিষয়ে দক্ষ লোকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এই উভয় প্রকার দেশেই আমরা আমাদের দক্ষ ও অদক্ষ সকল প্রকার মানুষকে নেবার জন্য বলতে পারি। কিন্তু তারা সেধে কেন এই ঝামেলা নিতে যাবে? আমরা যদি তাদের জন্য বেশ লাভজনক এমন সব প্রকল্পে রাজী করাতে পারি যেখানে আমাদের বিপুল জনশক্তি রফতানী করা যায় তাহলে একট উপায় বের হয়। এই অফারটির প্রকৃতি বিদ্যমান কর্পোরেট রাক্ষসদের অনুরূপ নয়, বরং পারস্পারিক সহযোগিতামূলক (Symbiotic) হবে। এর উদ্দেশ্য ঔপনিবেশিকতা নয়, বরং উভয়ের উন্নয়ন হবে। এর উদ্দেশ্য সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ নয়, বরং শান্তিপূর্ন সহবস্থান ও বিনিময় হবে। এটি হবে বিশাল মানবিক বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশ এবং অনুরূপ দেশগুলোকে বাঁচানোর জন্য একটি সংবেদনশীল উপায়।

আমরা কি পারি না এমন প্রকল্প তৈরী করতে যা পশ্চিম ও মধ্য অস্ট্রেলিয়াকে সুজলা-সুফলা করতে পারে? পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার কৃষি উৎপাদনকে বহুগুণ বাড়াতে পারে? উত্তর-পূর্ব আফ্রিকায় পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে বিশাল শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে পারে? দুর্গম লাতিন আমেরিকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে? সেখানে নতুন নগরায়ণ করতে পারে? ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, ওসেনিয়ান দ্বীপপুঞ্জ আর ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সমূদ্রভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে পারে? বিশাল বোর্নিও দ্বীপে খনি ও বনভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে পারে?

এতে বিপুল পরিমান মানুষের ঐ সমস্ত প্রকল্পে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বসবাসের জায়গা হবে। প্রকল্পগুলো অতি দীর্ঘ মেয়াদী বা প্রায় স্থায়ী বলে বিষয়টি “মাইগ্রেশনে”র আকার নেবে। এর সবই সম্ভব। তবে তার জন্য চাই সাহস, ধৈর্য্য, সততা, মেধার প্রয়োগ, দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য রাতারাতি ধনী হবার লোভত্যাগ, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া, ঐকান্তিকতা, সর্বোপরি দেশপ্রেম। সরকার এই পথে চিন্তা করবে আর উদ্যোগ নেবে অমন অহেতুক চিন্তা করে সময় নষ্ট না করাই ভাল। এর চেয়ে সাহসী উদ্যোক্তারা একা, দলগতভাবে বা বাইরের সহযোগিতায় এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।

যদি আমরা এধরনের চিন্তা করে এমন উদ্যোগ না নেই তাহলেও ঐ সমস্ত প্রকল্প হবে। তবে তা করবে কর্পোরেট রাক্ষসেরা। যারা ঐদেশের এবং যারা তাদের হয়ে কাজ করবে, তাদের সবাইকেই শেষবিন্দু পর্যন্ত শুষে নেবে। তাতে না হবে আঞ্চলিক উন্নয়ন না হবে আমাদের মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো। (১)

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষিত বাংলাদেশী যুবকরা সড়কে, শপিংমলে পরিচ্ছন্নকর্মী এবং নির্মাণ প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। যে প্রলোভন ও আশ্বাস দিয়ে তাদের মালয়েশিয়ায় আনা হয়েছিল তার কোনটিই বাস্তবে মিলে নি। যে টাকা খরচ করে তারা এদেশে এসেছে তা তুলতেই তাদের তিন/চার বছর লাগবে।

কেবল নিচুমানের কাজ নয়, তাদের থাকতে হয় গাদাগাদি করে অপরিসর, অস্বাস্থ্যকর জায়গায়। আমরা যতই ভাইয়ের পরিচয় দেই না কেন, মধ্যপ্রাচ্যের বা মালয়েশিয়ার মুসলমান ভাইয়েরা আমাদের স্রেফ ‘ফকির’ বা ‘মিসকিন’ মনে করে। অথচ সমুদ্রে তেল পাবার কয়েক দশক আগে এরাই মিসকিন হয়ে ভারতবর্ষে আসত সওদা ফেরী করতে।

বাংলাদেশের একশ্রেনীর জনশক্তি রফতানিকারক অসাধু প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজসে এসব করছে কিছু অসৎ প্রতিষ্ঠান। এটাও একপ্রকার দাসপ্রথাই! আমাদের দারিদ্রের সুযোগ নিচ্ছে উন্নত বিশ্ব আর সে অগ্নিতে ঘি ঢালছে কিছু মানবতাবর্জিত ও লোভী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। ভিটে-মাটি বিক্রি করে কত অসহায় মানুষ সুখের আশায় মরুভূমের প্রখর রৌদ্রের ভিতর বা শীতপ্রধান দেশের বরফের ভিতর দিনের পর দিন গাধার মত খেঁটে গেছেন আর বিদেশী পুজির জন্য তৈরী করেছেন উদ্বৃত্ত মূল্য তার ইয়ত্তা নাই।

সেদিন ফেসবুকে কথা বলছিলাম ইংল্যাণ্ড প্রবাসী এক কবি-সম্পাদকের সাথে যিনি অবলীলায় স্বীকার করলেন তার দৈনিক বার ঘন্টা বরফভাঙ্গার কষ্টকর সংগ্রামের কথা। গাঁটের পয়সা খরচ করে স্বপ্নের বিদেশে গিয়ে বছরের পর বছর দুঃস্বপ্নের জেল খেটেছে কত অসহায় বাংলাদেশী শ্রমিক, তার ইয়ত্তা নেই, সংবাদপত্রে তাদের করুণ কাহিনী আমরা পড়েছি।

তবে সকল নেতিবাচক চিত্র বাদ দিলেও একথা স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান আয় বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স আর্নিং। এই রেমিটেন্সের অর্ধেকই আসে সৌদি আরব থেকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। গার্মেন্টস শিল্পের আয় ও রেমিটেন্স আয় দরিদ্র ও দুর্বল অর্থনীতির বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছে, বিশ্বমন্দার ভিতরেও টিকে থাকতে সাহায্য করছে। হাজারে হাজারে নয়, বিদেশে লোক পাঠাতে হবে লক্ষ লক্ষ। মেধাবী মানুষদের নয়, কায়িক পরিশ্রমের, যেমন কৃষক বা জেলেদের, পাঠাতে হবে প্রচুর সংখ্যায়। সম্প্রতি মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে ‘মাছধরার জেলে’ নিতে চেয়েছে, এটা আশার কথা। তেমনি লক্ষ লক্ষ হেক্টর অনাবাদী জমি চাষ করতে অস্ট্রেলিয়া নিতে পারে হাজার হাজার চাষী। অদক্ষ শ্রমিকের তুলনায় দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারলে আয় হবে কয়েকগুন বেশী। মধ্যপ্রাচ্যে যেমন মোটর মেকানিকের মত দক্ষ কর্মী প্রয়োজন, তেমনি উন্নত বিশ্বে প্রয়োজন প্রচুর নার্সের। আমাদের মস্ত সুবিধা হচ্ছে আমাদের রয়েছে প্রচুর তরুণ জনশক্তি, যাদের সামান্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে তোলা যায়, দক্ষ শ্রমিক হলে তাদের আয় দ্বিগুন, তিনগুণ বেড়ে যাবে।

তথ্যসুত্রঃ আইএলও, জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরো, সাংবাদিক কামরল হাসান ।

Logo-orginal