, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আবারো পিছিয়ে গেল বেগম জিয়ার জামিনের রায়

প্রকাশ: ২০১৮-০৫-১৫ ১৩:৩৩:৩৮ || আপডেট: ২০১৮-০৫-১৫ ১৩:৩৩:৩৮

Spread the love

আবারো পিছিয়ে গেল বেগম জিয়ার জামিনের রায়
ঢাকা:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আজ মঙ্গলবার রায় হয়নি। কাল বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রায়ের কথা থাকলেও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আবার যুক্তিতর্ক তুলে ধরার আবেদন জানান। এতে অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। দুপুরে তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায়ের জন্য কাল দিন ধার্য করেন।

৮ ও ৯ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।

আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘আমি আরও কিছু যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে চাই।’ কাল বুধবার এ যুক্তিতর্ক তুলে ধরার দিন ধার্য করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান তিনি।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টা সময় নির্ধারণ করে যুক্তিতর্ক তুলে ধরার আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।

এ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যার ওপর শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট চারটি দিক বিবেচনায় তাঁকে চার মাসের জামিন দেন।

এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন। অন্যদিকে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা, যা সেদিন চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। পরে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে শুনানির জন্য ৮ মে দিন রাখেন আপিল বিভাগ।

এদিকে আজ খালেদা জিয়ার জামিন হতে পারে—এই আশায় সকাল আটটা থেকে হাইকোর্টের সামনে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে সোয়া নয়টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাইকোর্টের গেটের কাছ থেকে সরিয়ে দিচ্ছিল পুলিশ। হাইকোর্টের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান, জলকামান ও পুলিশ পরিবহন গাড়ি রাখা হয়েছে সেখানে।

Logo-orginal