rtm
প্রকাশ: ২০১৮-০৬-১৬ ০৭:২৮:১৪ || আপডেট: ২০১৮-০৬-১৬ ০৭:৩৬:৫৮
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, সাতকানিয়া: আকাশে মেঘ দেখলেই সাতকানিয়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়! আর একটু ঝড়বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। সারাদিনেও তখন বিদ্যুতের নাগাল পাওয়া যায়না। তাছাড়া দিনে-রাতে অসংখ্যবার লোডশেডিংতো নিয়মিত ব্যাপার। এছাড়া মাঝেমধ্যে ঘোষণা দিয়ে, আবার অনেক সময় ঘোষণা ছাড়াই লাইন সংস্কারের নামে সারাদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
এটা হলো চট্টগ্রাম পল্লী বিদুৎ সমিতি-১ এর সাতকানিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার হালচিত্র। বছরের পর বছর ধরে চট্টগ্রাম পল্লী বিদুৎ সমিতি-১ এর এমন অব্যবস্থাপনায় একদিকে যেমন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের, অন্যদিকে সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমের শুরুর দিকে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে খুঁটি ও তার পরিবর্তনসহ নানা সংষ্কার কাজ করা হয়। কিন্তু এর পরেও সামান্য মেঘ-বৃষ্টি হলেই খুঁটিপড়ে যাওয়া বা তার ছিড়ে যাওয়ার অজুহাতে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক উন্নতি ঘটলেও সাতকানিয়ায় বরাবরই অতি মাত্রায় লোডশেডিং থেকেই যাচ্ছে। এমনকি ঈদের আগের দিন শুক্রবারও দিনভর তেমন বিদ্যুৎ ছিল না সাতকানিয়ায়। ঈদে এমন অবস্থা চলতে থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিকৃয়া ও ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারদলীয় কয়েকজন রাজনীতিক বলেন, সরকার চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করে সারাদেশের লোডশেডিং একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। কিন্তু সাতকানিয়ার অবস্থা দেখে মনে হয় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুতের কেউ হয়তো চক্রান্ত করছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সামান্য মেঘের গর্জন বা বজ্র চমকালেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কিছু সময় পর মেঘ সরে গেলেও বিদ্যুৎ আর আসেনা। অনেক সময় সারা দিনে এমনকি রাতেও বিদ্যুৎ না আসায় অন্ধকারে ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হয়। এমনকি অন্ধকারে বহুবার বাজার চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
আমাদের কেঁওচিয়া নামক ফেসবুক গ্রুপে আবুল বাশার নামে একজন পোস্ট করেছেন, বল্লী বিদ্যুতের অবস্থা কিছুই বুঝতে পারছিনা। যতদুর জানি দেশে চাহিদার তুলনায় বেশী বিদ্যুত উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু কেঁওচিয়ায় চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে চার ঘন্টাও বিদ্যুত থাকছে না। ঈদ করতে বাড়িতে এসে এ কোন যন্ত্রনায় পড়লাম জানিনা। এদিকে ইন্টারনেটের অবস্থা তার চেয়েও খারাপ। কোন কিছু চার্জ দিলে ঘুরছেতো ঘুরছেই আসার নাম গন্ধ নেই। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে দোজখে আছি। জানিনা আমরা কেঁওচিয়া বাসীর কপাল এত মন্দ কেন। কেউ কি এ যন্ত্রনা থেকে মুক্তির উপায় বলতে পারবেন? (হুবহু তার পোস্ট উল্লেখ করা হয়েছে)
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, অন্যান্য এলাকার চেয়ে আমাদের সাতকানিয়া অঞ্চল পুরনো লাইন সংস্কারের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। যার কারণে সামান্য মেঘ বৃষ্টি হলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
মুঠোফোনে (০১৭৬৯৪০০১০৫) একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ না পাওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সাতকানিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।