, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

প্যারোলে মুক্তি মেলেনি মাওলানা সাঈদীর” জানাযায় লাখো মানুষের ঢল

প্রকাশ: ২০১৮-০৬-১৯ ২২:৩০:৪৬ || আপডেট: ২০১৮-০৬-১৯ ২২:৩০:৪৬

Spread the love

প্যারোলে মুক্তি মেলেনি মাওলানা সাঈদীর” জানাযায় লাখো মানুষের ঢল
ছোট ভাইয়ের জানাজার নামাজ পড়াতে প্যারোলে মুক্তি মেলেনি মাওলানা সাঈদীর। সাঈদী ছোট ভাই আলহাজ্জ্ব হুমায়ুন কবির সাঈদী মৃত্যুর আগে অছিহত করে গিয়েছিলেন তার (কবির সাঈদীর) জানাজার নামাজ যেন তার বড় ভাই মাওরানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। সে কারনে সোমবার মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন।

কিন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তাদের আবেদন গ্রহন করে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায়। এই আশায় দুপুর দেড়টায় মতিঝিল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও সেই আশায় জানাজার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মুক্তির কোন সুরাহা না হওয়ায় ছোট ভাইয়ের জানাজায় অংশগ্রহন করতে পারেননি মাওলানা সাঈদী। পরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেঝ পুত্র আলহাজ্জ্ব শামীম সাঈদী তার চাচা হুমায়ুন কবির সাঈদীর জানাজার নামাজ পড়ান।

সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী জানান, ‘মাওলানা সাঈদীর প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সরকার আমাদেরকে আশ্বস্থ করলেও একদিন পর মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কোন সুরাহা করেনি। সরকার আমাদের সাথে অমানবিক আচরণ করেছে। এ সরকারের কাছ থেকে কোন মানবিক আচরণ আশা করা যায় না। আগামীকাল বুধবার আমাদের গ্রামের বাড়ী পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আমার পিতার প্রতিষ্ঠিত এস. ডি মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা মাঠে বুধবার ২য় জানাজা শেষে সাঈদখালীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর সাঈদীর মাতা গুলনাহার ইউসুফের মৃত্যুর পর এবং তার বড় ছেলে মাওলানা রাফিক বিন সাঈদী’র ২০১২ সালের ১৩ জুন মৃত্যুর পর তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি ২৮ অক্টোবর মায়ের এবং ১৪ জুন ছেলের জানাজার নামাজ পড়ান।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছোট ভাই আলহাজ্জ্ব হুমায়ুন কবির সাঈদী (৫৬) সোমবার সকালে ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক (বারডেম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

এর আগে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর সাঈদীর মাতা গুলনাহার ইউসুফের মৃত্যুর পর এবং তার বড় ছেলে মাওলানা রাফিক বিন সাঈদী’র ২০১২ সালের ১৩ জুন মৃত্যুর পর তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি ২৮ অক্টোবর মায়ের এবং ১৪ জুন ছেলের জানাজার নামাজ পড়ান। উল্লেখ্য ২০১০ সালের ২১ মার্চ তারিখে দায়েরকৃত মামলায় সাঈদীকে একই বছরের ২৯ জুন রাজধানীর শহীদবাগ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুত্র: নয়া দিগন্ত।

Logo-orginal