admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৬-২১ ২০:২৯:৩৩ || আপডেট: ২০১৮-০৬-২১ ২০:৩১:১৪
(ছবি, বাংলা ট্রিবিউন) সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হতে মাঠে তৎপর রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামির সিলেট মহানগর আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। ইতোমধ্যে জুবায়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত না হলেও দুই প্রার্থীই ইতোমধ্যে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। নগরীতে ব্যানার, বিলবোর্ড, তোরণ নির্মাণ করে নিজেদের প্রার্থিতা জানান দেওয়ার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক গণসংযোগও শুরু করেছেন।
২০ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত বিএনপি ও জামায়াতের দুই নেতার আলাদাভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা ও প্রচারণার কারণে সিলেট সিটি নির্বাচনে জোটের বিভক্তিরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তবুও ২০ দলীয় জোটের প্রথম পছন্দ হিসাবে এগিয়ে আছেন এড. জুবায়ের। এর আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আলাদা আলাদাভাবে অংশ নেয় বিএনপি ও জামায়াত।
গত নির্বাচনে আরিফুল হকের সাথে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেট সিটি নির্বাচনে জোটের প্রার্থিতা দাবি করেছিলেন। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে আরিফকে ছাড় দেন এড. জুবায়ের।
এবারও সমঝোতার ভিত্তিকে একক প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জোটের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জোটের বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী সিলেটে জামায়াতকে ছাড় দিতে পারে বিএনপি এবং সেক্ষেত্রে ২০ জোটের সমর্থন পাবেন এড. জুবায়ের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জোটের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনার জন্য আগামী ২৭ জুন আবারও জোটের বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
এ বৈঠকের ব্যাপারে মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একক প্রার্থী দেওয়া ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করেছেন। তবে কে প্রার্থী হবেন তা সিদ্ধান্ত হয়নি তবে আমরা আশাবাদী!
জুবায়ের বলেন, দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাকে প্রার্থী হওয়ার চাপ দিচ্ছেন। তাদের মতামতে আমি প্রার্থী হয়েছি। মঙ্গলবার ২০ দলীয় জোটের সিলেটের নেতাদের সাথে আমি বসেছিলাম। সে বৈঠকে জোটের পক্ষ থেকে আমাকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। আশা করছি জোট থেকে আমাকে প্রার্থী করা হবে।
জোট থেকে প্রার্থী দেওয়া না হলে নির্বাচন করবেন কি না এ ব্যাপারে জুবায়ের বলেন, দলের নেতাকর্মীরা চাচ্ছেন আমি নির্বাচন করি। এ বিষয়টি আমি কেন্দ্রীয় নেতাদেরও অবহিত করেছি।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থিতা বিষয়ে বুধবার নয়াপল্টনে জোটের বৈঠকে উপস্থিত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত সব সময় গণতন্ত্র ও জোটের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না।
পরিছন্ন রাজনীতিবিদ হিসাবে খ্যাত সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি।
সিসিকের মেয়র প্রার্থী হতে বুধবার বিএনপির মনোনয়ন কিনেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিসিক নির্বাচন অংশ নিতে এপর্যন্ত মেয়র পদে ৪ জন(স্বতন্ত্র প্রার্থী), সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তিনি আরও জানান, মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সবশেষ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি। এর আগে এহসানুল হক তাহের, এহসানুল মাহবুব ফেরদৌসী জুবায়ের ও মুক্তাদির আহমদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়ায় এখনও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।