admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১৩ ২০:৪৬:২৯ || আপডেট: ২০১৮-০৭-১৩ ২১:০৫:৫৬
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও সরকার ও বিরোধী দল এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েই চলেছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পদ্ধতি সংস্কারের দাবি করলেও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে মেনে নিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ না থাকায় আবারও মাঠে নামেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে মারধোরের শিকার হন তারা। শেষ পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা ও সংস্কারে সুপারিশ প্রণয়নে গঠন করা হয় কমিটি।
এদিকে, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে আদালতের রায়ের কথা কমিটিকে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এরই আলোকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে, বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মতে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে আদালতের রায় আছে। এখন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তা পরিবর্তন করলে আদালত অবমাননা হবে। তাই কোটায় যাই থাক, যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে তা মেধা থেকে পূরণ হবে, এ পদ্ধতি চালু থাক। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে দিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছে, তারাও বিষয়টি দেখছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য যথার্থ নয় বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, যতদূর জানি, এমন কোনো রায় নেই। থাকলেও কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে সরকার আদালতে যেতে পারতে। রায় সংশোধন, বাতিল, পুনর্বিবেচনা করাসহ নানা উপায় আছে। সরকার আন্তরিক হলে রায় সংশোধন করা কঠিন নয়। নিয়ত ঠিক থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রাখেননি।
তিনি আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও কিছু নয়। সরকারও সেটা জানে। কিন্তু এটাকে রাজনৈতিক আখ্যা দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। কোটা আন্দোলনে জড়িতদের হয়রানি ও নির্যাতনের বিচার একদিন এদেশে হবে বলেও জানান সাবেক এ আইনমন্ত্রী।সুত্রঃ পার্সটুডে।