rtm
প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১৬ ১৯:০৩:৪২ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১৬ ১৯:২৫:৫২
মোঃ জাহেদুল ইসলাম, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম: শ্রাবণের তীব্র তাপদাহে ওষ্ঠাগত নাগরিক জীবন। নেই বৃষ্টি, অন্যদিকে প্রচণ্ড রোদ। বৈদ্যুতিক পাখায়ও যেন ঘরে কমছে না গরম। গরমে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামবাসী চাতকের মতো অপেক্ষা করছিল একটুখানি বৃষ্টির।
অবশেষে নেমে এলো সেই স্বস্তির বৃষ্টি। ভাদ্রর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। কিন্তু এতো সহসা যে বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে হয়তো আশা করতে পারেনি চট্টগ্রামবাসী।
সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রামে নামে বৃষ্টি; ছিল একটানা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে বৃষ্টি থামলেও মুহুর্মুহু বজ্রপাতের শব্দে প্রকম্পিত রয়েছে চট্টগ্রাম।
মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি সামান্য পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে উপকূলীয় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় স্থল মৌসুমী নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।’
লঘুচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর পুনঃ তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।