, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ধানমণ্ডির H2O রেষ্টুরেন্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও)

প্রকাশ: ২০১৮-১০-০২ ১৯:০৯:১৮ || আপডেট: ২০১৮-১০-০২ ১৯:০৯:১৮

Spread the love

ধানমণ্ডির H2O রেষ্টুরেন্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও)সোশ্যাল মিডিয়ায় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের একটি শোতে এক প্রতিযোগীকে H2O কী জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, ধানমণ্ডির একটি রেস্টুরেন্ট। যদিও বিচারক তাকে জানান, এর উত্তর পানি। কিন্তু প্রতিযোগী জানান ধানমণ্ডির একটি রেস্টুরেন্ট। এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর এতে দর্শকদের মনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। এটা আসলে কেমন রেস্টুরেন্ট, এখানে কী পাওয়া যায়? আদৌ কি তার অস্তিত্ব আছে? প্রতিবেদন দৈনিক যুগান্তরের।

এসব কৌতূহলের সমাধান খুঁজতে সরেজমিন পরিদর্শনে যায় যুগান্তর। ধানমণ্ডির ৭/এ’তে কেএফসি’র ওপরে লিফটের তিনে H2O রেস্টুরেন্ট। মূল বিল্ডিংয়ের বাইরে যদিও তাদের সাইনবোর্ডের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে ভেতরে একটি লাউঞ্জ পাওয়া গেছে।

রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহিদ হাসান লিমনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট খোলা থাকে। তিনি জানান, এখানে সাধারণত ২০ বছরের ওপরে তরুণ-তরুণীরা ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের ভোজন রসিকরা আসেন। যেহেতু রেস্টুরেন্ট, ২০ বছরের নিচেও গ্রাহকরা আসেন। তবে এর সংখ্যা কম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে এক প্রতিযোগী H2O একটি রেস্টুরেন্ট বলে ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বাড়তি কোনো কাস্টমারের সাড়া পাওয়া গেছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহিদ হাসান লিমন যুগান্তরকে বলেন, ওই ভিডিওর পরে সোমবার ২০ জনের মতো কাস্টমার H2O সম্পর্কে খোঁজ নিতে আসেন। এদের মধ্যে তিন-চারজন ফুডের অর্ডার করেন। তবে বিক্রি আগের মতোই আছে।

রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার আরও বলেন, এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে মানুষের মধ্যে একধরনের কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। এতে রেস্টুরেন্ট নতুন এক পরিচিতি পেয়েছে, যা আগে এভাবে ছিল না।

ঘটনার মঞ্চ রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির রাজদর্শন হল। যেখানে রোববার এবারের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল আয়োজিত হয়েছে।

রোববার ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় এক প্রতিযোগীকে প্রশ্ন করা হলো: H2O মানে কী?
উত্তরে প্রতিযোগী অনেকটা সময় কাচুমাচু করে বললেন: ধানমণ্ডিতে একটা রেস্টুরেন্ট আছে এই নামে…।

এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে চলছে ট্রল। একজন লিখেছেন, জীবন মানে জি-বাংলা হতে পারলে রেস্টুরেন্টের নাম H2O হতে পারবে না কেন?

কেউ লিখেছেন, দোকানদারকে H2O হিট করে একটা চা দিতে বললাম, সে পাত্তাই দিল না। এই দোকানদারের জন্য তোমরা এখন কী Wish করবা বন্ধুরা?

H2O আসলে পানির রাসায়নিক নাম (chemical formula)। পানিতে মূল দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু থাকে। এ জন্য সংক্ষেপে এর রাসায়নিক নাম দেয়া হয়েছে H2O।

সাধারণত মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি খুবই পরিচিত। বিজ্ঞানে পড়েননি কিন্তু যারা চাকরির জন্য পড়াশোনা করেন তাদের কাছে এটি একেবারেই সাধারণ বিষয়।

কিন্তু মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আসরে যারা প্রতিযোগিতা করছেন তারা এমন সাধারণ বিষয় না জানায় নেটিজেনদের সমালোচনায় পড়েছেন।

তবে H2O পানির রাসায়নিক নাম হলেও এই নামে বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের ব্যান্ড দল রয়েছে এ নামে। H2O নামে প্রায় ১০টি মুভিও তৈরি হয়েছে।

Logo-orginal