, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সর্বগ্রাসী সোশ্যাল মিডিয়া ও বাঁচার উপায়

প্রকাশ: ২০১৮-১০-১৫ ১২:২৬:৪২ || আপডেট: ২০১৮-১০-১৫ ১২:২৬:৪২

Spread the love

সর্বগ্রাসী সোশ্যাল মিডিয়া ও বাঁচার উপায়আবুল কাশেম, আরটিএমনিউজ২৪ডটকমঃ আমিও ফেসবুক ভালবাসি। ভালবাসি আমার বন্ধুদেরকেও। কিন্তু বর্তমান জেনারেশন ফেসবুকে যেভাবে আসক্ত হয়েছে তাতে মনে হয় ওটাই আসল দুনিয়া। হয়তো এটাই ভবিষ্যত। এখনও তো বাস্তবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময় পাওয়া যায় কিন্তু একটা সময় হয়তো ফেসবুক অথবা অন্য কোনো সোস্যাল নেটওয়ার্কই হবে সব কিছু।

আমি যদি বলি, “ফেসবুক সবার জন্য নয়” কেমন শোনাবে? ফেসবুক আমাদের জীবনে এতটাই এতটাই বেশি প্রভাব ফেলেছে যে বাস্তবতার কথা আমরা ভুলে যাই। হবেই বা না কেন? বাস্তবতায় আমাদের যদি ১০ জন বন্ধু থাকে, ফেসবুকে এক সাথে আমরা ১০০ জনের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। একটা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতিদিন ২০ মিনিট ফেসবুক ব্যবহার করে।

আপনি যদি সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে সম্ভবত আপনার দিন শুরু হয় ফেসবুকিং করেই। ঘুম ভেঙে আপনি নিশ্চই নোটিফিকেশন চেক করেন? সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়টি হচ্ছে ফেসবুকিং এখন আমাদের টপ প্রায়োরিটি। আপনার কাছের মানুষ যেমন সন্তান, স্ত্রী অথবা বাবা মা কেও আপনি বলে বসতে পারেন “একটু অপেক্ষা কর, আমি ফেসবুকিং করছি” অথবা “আমি এখন ফেসবুকে ব্যস্ত, পরে কথা বলবো”। হয়তো বলেছেনও।

আরও একটা জিনিস খুব অহরহ হয়, আপনার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলো যেটা আপনার কাছের মানুষকে ফোন করে জানানোর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবে পোস্ট করা। যেমন: I’m pregnant অথবা I’m engaged. মজার ব্যপার, বাস্তবে কারও সাথে নতুন পরিচয় হলে কথা বার্তার এক পর্যায়ে আমরা বলে বসি “ঠিক আছে, আজ উঠি, ফেসবুকে কথা হবে”। বাস্তব আড্ডা যদি হয় ১০ মিনিটের ফেসবুকে চ্যাট হয় ৩ ঘন্টা! (১)

ফেসবুক লাইভে নির্যাতন (২)

ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে এক তরুণের ওপর নির্যাতন চালানো চার তরুণ-তরুণীর ভিডিও। নির্যাতনের পুরো ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছিল, যেখানে দেখা যায় পেটানোর পাশাপাশি শ্বেতাঙ্গ তরুণের চুল কেটে দেওয়া হয় এবং সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ভিডিওটি মুছে দেয় ফেসবুক। ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ।

নির্যাতিতার সঙ্গে সেলফি

২০১৪ সালে ৩৯ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলা রাইটসনের উপর প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালায় দুই ইংরেজ তরুণী। আহত অ্যাঞ্জেলা রাইটসনের সঙ্গে সেলফি তুলে সেই ছবি স্ন্যাপচ্যাটে শেয়ার করেছিল সেই ইংরেজ দুই তরুণী। আর অত্যাচারের এক পর্যায়ে রাইটসন মারা যান।

ধর্ষণের ভিডিও টুইটারে

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরো নামের একটি স্থানে ২০১৬ সালের মে মাসে এক তরুণীকে ৩০ জনেরও বেশি লোক ধর্ষণ করে। সেই তরুণী ছেলেবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর সেখানে তাকে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে নির্যাতন চালায়। অপরাধীদের মধ্যে কয়েকজন টুইটারে ভিডিও আপলোড করায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

আত্মহত্যা লাইভে!

ফ্রান্সের ১৯ বছর বয়সী তরুণী আত্মহত্যা করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২০১৬ সালের মে মাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সেই তরুণী পেরিস্কোপ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করেছিল।

ধর্ষণের সম্প্রচার

পেরিস্কোপে ‘লাইভ সেক্স’ শিরোনাম দিয়ে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চে একটি ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওটি যারা দেখেছে, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে ‘বাজফিড’ নামের এক সংবাদমাধ্যম, লন্ডনের এক ফ্ল্যাটে তিন তরুণকে এক তরুণীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে দেখা গেছে। পরে জানা যায়, এটি ছিল ধর্ষণের ঘটনা।

সরাসরি ‘আত্মহত্যা’

যুক্তরাষ্ট্রে কেটলিন নিকোল ডেভিস নামের তরুণী তার আত্মহত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করেছে। তার বয়স ছিল ১২ বছর। গাছের ডালের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করে। জানা যায়, এক আত্মীয়ের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় আত্মহত্যা করছে সে।

অপরাধঃ

সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে কিশোর অপরাধ বেড়েই চলেছে যা রীতিমতো মারাত্বক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে ফেসবুকভিত্তিক যে গ্যাং কালচার অপরাধ চালু হয়েছিল তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই নয়, সামাজিক-পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ধর্মীয় অনুশাসন ও মূল্যবোধ না মানার কারণেই কিশোর অপরাধ দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিশোর অপরাধ কমিয়ে আনতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি কিশোরদের মাঝে সামাজিক-মানবিক মূল্যবোধ দৃঢ়ভাবে তৈরি করতে হবে।

ছিন্ন হচ্ছে পারিবারিক বন্ধনঃ

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সময় কেড়ে নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এসব মাধ্যমের প্রতি মানুষের আসক্তি এতোটাই বাড়ছে যে নিজের ও পরিবারের জন্য একটু সময় বের করার ফুরসত মিলছে না ইন্টারনেটের বাসিন্দাদের।

চিকিৎসা গবেষণা বলছে, মানুষের কাছ থেকে দৈনিক গড়ে ১০০ মিনিটের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভার্চুয়াল যোগাযোগের প্রতি ঝোঁক যত বাড়ছে ততবেশি সমাজ ও পারিবারিক জীবন থেকে সৃষ্টি হচ্ছে বিচ্ছিন্নতা ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের পাঠচক্রে কিংবা আড্ডায় এখন যতটা না মুখে কথা বলতে দেখা যায়, তারচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় নীরবতা। তবে বাস্তবে কথা কম হলেও থেমে নেই ভার্চুয়াল আলাপন। যে যার মত ব্যস্ত ইন্টারনেটের বাসিন্দারা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপনন প্রভাবক প্রতিষ্ঠান মিডিয়াক্লিক্সের গবেষণা অনুযায়ী একজন মানুষ দৈনিক ফেইসবুকে ৩৫ মিনিট, ইউটিউবে ৪০, হোয়াটস অ্যাপ ২৫ মিনিট, ইনস্টাগ্রামে ১৫ এবং টুইটারে ১ মিনিট করে মোট ১১৬ মিনিট ব্যয় করে। সেই হিসেবে মানুষের গড় আয়ু থেকে কমে যায় ৫ বছর ৪ মাস।

ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরো সাইন্সের গবেষকদের দাবি- দৈনিক গড়ে ১০০ মিনিটের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে সামিজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এ অবস্থা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্কগুলো।
সাম্প্রতিক সময়ে পারিবারিক ভাঙন বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি ও এর অপব্যবহারকে

গবেষকরা কি বলছে ?

যেসব টিনএজার দীর্ঘসময় ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় সময় অতিবাহিত করে তাদের মনোযোগে মারাত্মক ঘাটতি দেখা দেয়। নতুন একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।সমীক্ষা প্রতিবেদনটি আজ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

মনোযোগে ঘাটতির এই অবস্থাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটেনশন ডেফিসিট/হাইপারএক্টিভিটি ডিসঅর্ডার(এডিএইচডি) নামে অভিহিত করা হয়। তবে কিছু সময় যদি তারা ডিজিটাল মিডিয়ায় অতিবাহিত করে সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের খুব একটা বিচলিত হওয়া কারণ নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে ডিজিটাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত করা আসক্তি পর্যায়ে পড়ে, যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। ওই সমীক্ষার গবেষকদের এমনটাই অভিমত।

ওই গবেষণায় প্রায় ২ হাজার ৬০০ স্কুলছাত্র টিনএজার অংশ নেয়। এতে তাদের নানা ধরণের ডিজিটাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের সঙ্গে এডিএইচডি-র সংশ্লিষ্টতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। দুই বছর ধরে এই পর্যবেক্ষণ চালানো হয়।

সমীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব টিনএজার নানা ধরণের ডিজিটাল মিডিয়া দিনে বহুবার ব্যবহার করে তাদের অন্যদের তুলনায়(যারা কম ব্যবহার করে)এডিএইচডি-তে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।

গবেষকরা বলছেন, ডিজিটাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত আসক্তি টিনএজারদের মনোসংযোগে মারাত্মক ঘাটতি তৈরী করে। এই সমীক্ষায় ডিজিটাল মিডিয়ায় আসক্তির বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষত ফেসবুক-কে আমলে নেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে বাঁচতে ইসলামের শিক্ষাঃ (৩)*

আধুনিকতার যুগে মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফিসহ নানা অনৈতিক লজ্জাজনক কাজে। বিশেষ করে যুবকদের একটা বড় অংশ জড়িয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফিতে। এসব গর্হিত কাজ থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন ধর্মীয় অনুশাসন। আর ইসলাম এ ধরনের নোংরা আসক্তি থেকে বাঁচতে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

কুরআন মাজিদে আল্লাহ সব ধরনের খারাপ অভ্যাস অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। যে অভ্যাসগুলো মনে গুনাহ ও ক্ষতিকর ময়লা সৃষ্টি করে তা পরিহার করা আবশ্যক। এ ধরনের সমস্যায় শুধু পুরুষরা আক্রান্ত নন, আছেন মহিলারাও। আর সময় মতো এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপত্তি। এ জন্য ইসলাম আমাদের যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গ হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। (সুরা নুর-৩০)

আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এ বাজে অভ্যাস হতে দূরে থাকা যায়।আর তাহলে অর্জন করতে পারবেন সুস্থ জীবন।

0১. খারাপ চিন্তাভাবনা এড়িয়ে চলুন

ইসলাম বলে খারাপ চিন্তা ভাবনাও গুনাহের বিষয়। তাই খারাপ চিন্তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর খারাপ চিন্তা থেকে বাঁচতে পারলেই খারাপ কাজ থেকে বাঁচা সহজ হবে।
যদি আপনি মনে করেন যে আপনার যৌন উত্তেজনা আপনি কোনভাবেই দমন করতে পারছেন না। তখন আপনার উচিত আল্লাহর দরবারে দোয়া করা। অথবা পরিবার পরিজনের কাছাকাছি থাকা। আব্বু আম্মুর কাছে থাকা।

তাদের সঙ্গে সময় দিলে আসা করা যায় এ ধরনের চিন্তাভানা আসবে না কখনোই।

০২. একা থাকা এড়িয়ে চলুন

অনেক সময় একা থাকলে শয়তান মনের মধ্যে বিভিন্ন খারাপ ধারণা তৈরি করে দেয়। এ জন্য একাকিত্ব বর্জন করতে হবে।
একা থাকা এড়িয়ে চলেত আপনি নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন। কাজ থেকে অলস বসে থাকলে শয়তান খুব সহজেই ধোকা দিতে পারে।

০৩. ইন্টারনেট চালানোর ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন
ইন্টারনেট একান্তই যদি চালাতে হয় তাহলে কিছু সফ্টওয়্যার প্লাগইন রয়েছে যা আপনাকে সীমিত ওয়েবসাইট ব্যবহার কতে দিবে। খারাপ সাইটগুলো ব্লক করে রাখবে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আর সবসময় বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, আল্লাহ আমাকে দেখছেন।

০৪. বিবাহ করুন

একান্তই যদি আপনি নিজেকে পর্নোগ্রাফী থেকে মুক্ত রাখতে না পারেন তাহলে বিয়ের সামর্থ থাকলে বিয়ে করে ফেলুন।
বিয়ে করতে না পাড়লে রোজা রাখুন- রোজা আপনাকে যৌন উত্তেজনা থেকে রেহাই দেবে ইনশাআল্লাহ।

০৫. যারা এডাল্ট বা খারাপ কথা বলে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করুন
কিছু মানুষ আছে যারা সবসময় চিন্তাভাবনায় ইশারা ইঙ্গিতে কথা-বার্তায় যৌনতাকে নিয়ে আসে। তাদের সঙ্গ ত্যাগ করুন। এসব কথা ও চিন্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

০৬. এসব চিন্তা এলেই সাথে সাথে দোয়া করুন
যতটা সম্ভব দ্রুত দোয়া করুন। তওবা করুন। বেশি বেশি কুরআন পড়ুন। কুরআন সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে মানুষকে দূরে রাখে।
এসব ধরনের আলোচনা থেকে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। এ অাসক্তি আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এসব শয়তানি ধোকা থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
(১) ইন্টারনেট।
(২) ইত্তেফাক (২০১৭)
(৩)সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন।

@সংকলকঃ প্রবাসী কলামিস্ট। #নিউজটি শেয়ার করুন।

Logo-orginal