, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কুমিল্লায় হিজাব পরিধান করায় বেড়ধক পেটানোর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ২০১৮-১০-১৩ ২১:২২:৩৬ || আপডেট: ২০১৮-১০-১৩ ২১:২২:৩৬

Spread the love

কুমিল্লায় হিজাব পরিধান করায় বেড়ধক পেটানোর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধেকুমিল্লাঃ “আম্মু আমি আর ঐ স্কুলে যাবো না” – বরুড়ায় হিজাব খুলতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রী উপর বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়া তার মা’কে জানায়, আম্মু আমি আর ঐ স্কুলে যাবো না। কারন জানতে চাইলে মারিয়া তার মাকে জানায় হিজাব ও ওড়না খুলতে না চাওয়ায় সহকারী শিক্ষক আলী ইমাম স্যার পিটিয়েছে। কেবল পেটায় নি সহপাঠীদের দিয়ে জোর করে হিজাব ও নেকাব খুলিয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় আজেবাজে কথা বলে গালমন্দ করেছেন। কেন হিজাব খুলছে জানতে চাইলে মারিয়া কেঁদে কেঁদে জানায় চুল স্টাইল করে কেটেছি কি না অথবা খোপা স্টাইল করে বেঁধেছি কি না দেখতে চাইছে। গোসোল করে গিয়েছি তাই চুল ভেজা থাকায় আমি হিজাব খুলতে রাজি হইনি, সেজন্য আমাকে অনেক মেরেছে। আমি আর ঐ স্কুলে যাবো না।
বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও মেয়ের শরিরে রক্তাক্ত আঘাত ও বেতের বারির চিহ্ন দেখে টনক নড়ে মায়ের। এরপরই মারিয়ার মা খাদিজা আক্তার পুতুল অনৈতিক ভাবে মেয়েকে পেটানোর প্রতিবাদে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করলে কোনরুপ ব্যবস্থা নেয়নি তারা। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সরকারি শিক্ষক আলী ইমামের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। ঐ স্কুল ছাত্রীর মা প্রতিবেদক কে জানায় স্থানীয় সহকারী শিক্ষক আলী ইমাম প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই, এবং এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। আপনারা স্কুলের ছাত্রীদের কাছ থেকে গোপনে খবর নিলে তার অপকর্মের অনেক ঘটনার জানতে পারবেন। হিজাব পরে যাওয়া কি অন্যায়.?

আর কে কোন ভাবে চুল কাটবে এটা হিজাব খুলে দেখতে হবে কেন.? আমার মেয়ে হাইস্কুল ভর্তি হওয়ার পর থেকেই পর্দা কর চলতে পছন্দ করে এমন কি সে বাড়িতে পর্দা করেই চলাফেরা করে। একজন শিক্ষক হয়ে এমন অনৈতিক ভাবে একজন ছাত্রী কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হিজাব খুলতে বাধ্য করা এবং অমানুষিক নির্যাতন করে তিনি অবশ্যই অন্যায় করেছেন। আমার মেয়ে শিক্ষকের নির্যাতনের পর থেকে অসুস্থ হয়ে আছে তার শরিরে এখন জ্বর। এমনকি সে আর স্কুলেও যেতে চাইছে না। লিখিত ভাবে বিষয়টি বরুড়া উপজেলার ইউএনও মহোদয় বরাবরে অভিযোগ করেছি। আমি এ অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাতাইছড়ি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলী ইমামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগটি সত্যি নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

আমি ছাত্রীকে কোন প্রকার আঘাত করি নি। শরীরে বেতের দাগ কি করে এলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুু জানিনা আপনারা তদন্ত করুন আসলে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। সুত্রঃ দেশেরসময়ডটকম।

Logo-orginal