, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

দুর্বৃত্ত ও চোরের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনরা

প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৩ ২৩:২৮:২৯ || আপডেট: ২০১৮-১১-০৩ ২৩:২৮:২৯

Spread the love

দুর্বৃত্ত ও চোরের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনরা
হাসেম আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:দুর্বৃত্ত ও চোরের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের স্বজনরা। প্রতিদিন খোয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও প্রতিকার মিলছে না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।

সার্জারী বিভাগে চিকিৎসারত নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার দামী মোবাইল ফোন গত বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাতে হাসপাতাল থেকে চুরি হয়। একই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার শুখানপুখূরী ইউনিয়নের লাউথুতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র মাসুদ রানা। সে জানায় তার বাবার মোবাইল ফোন হাসপাতালে চুরি হয়েছে।

এই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আক্তারী বেগম বলেন, প্রতিরাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চুরির ঘটনা ঘটছে। তিনি আরও বলেন, দুষ্টু প্রকৃতির মাদকাসক্ত বখাটে তরুণ ও যুবকরা চুরিসহ মেয়েদের যৌন হয়রানী করছে। রোগী ও নার্সদের দাবী অন্তত রাতে তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা।

একটি বেসরকারী সংস্থা এমকেপি সুত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে এই হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং ৩৫টি মোবাইল ফোন পকেটমার ও দুর্বৃত্তরা চুরি করেছে।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাসখুরিয়া গ্রামের খাদেমুল ইসলাম দুঃখ করে বলেন, ছাগল বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করেছিলাম। সে টাকা চোরের পকেটে চলে গেছে। একই অভিযোগ হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের মন্নাটলী গ্রামের ইউসুফ আলীর।

সালন্দর ইউনিয়নের শাহপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম দু:খ করে বলেন হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিতে এসে কোন চিকিৎসা পাওয়া যায়নি। শুনেছি হাসপাতালে চোখের ডাক্তার আছে কিন্তু তিনি নিয়মিত এখানে থাকেন না। প্রশ্ন উঠেছে রুগীদের খাওয়ার মান নিয়েও সার্জারী বিভাগে চিকিৎসারত আফারুল ইসলাম বলেন শুনেছি রুগীদের খাওয়ার জন্য খাসীর মাংস ও মাছ দেয়ার প্রবিসন আছে। কিন্তু গত তিন দিন ধরে শুধু মাত্র বোল্ডার মুরগীর মাংস দিয়ে আসছে।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. প্রভাষ কুমার দাশ বলেন, রোগীদের মোবাইল ফোন ও টাকা চুরির ঘটনা তার জানা নেই বলে জানান তিনি। এছাড়াও ওয়ার্ডের বিষয় গুলো দেখেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার। তবে এধরনের ঘটনা ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সূব্রত কুমার সেনের সাথে হাসপাতালে ও মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহা. মনিরুজ্জামান বলেন, তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Logo-orginal