, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আত্মহত্যা করল মা” পেটের সন্তান ঝুলে থাকল নাড়ির সাথে”

প্রকাশ: ২০১৮-১২-২৩ ১২:০৭:০৬ || আপডেট: ২০১৮-১২-২৩ ১২:০৭:০৬

Spread the love

গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন গর্ভবতী এক নারী। গোয়াল ঘরে ঝুলছিল তার লাশ। উদ্ধার করতে আসা আত্মীয় স্বজন দেখলেন, সেই অবস্থাতেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে এসে ঝুলছিল নবজাতক সন্তান।

ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের কাটনী জেলার। সেখানকার একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে নবজাতককে। ডাক্তাররা শিশুটির অবস্থাকে স্থিতিশীল বলে বর্ণনা করছেন।

কী ঘটেছিল?
কাটনী শহরের বাসিন্দা লক্ষ্মী সিং নামের ওই নারী বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে। আত্মীয়স্বজনরা তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন সেই অবস্থাতেই পেট থেকে বেরিয়ে এসে ঝুলছে নবজাতকটি।

মায়ের শরীরের সাথে প্লাসেন্টা বা নাড়ি দিয়ে নবজাতকের শরীর তখনও জুড়ে ছিল।

পুলিশ আর হাসপাতালে খবর দেয়া হয়, তারপরে মৃত নারীকে হাসপাতালে নিয়ে এসে সন্তানটিকে মায়ের শরীর থেকে আলাদা করা হয়।

ইমারজেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার মাখনলাল সেন বলছেন, “আমাদের কাছে মেসেজ আসে যে এক নারী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছেন আর তার গর্ভে থাকা সন্তান বেরিয়ে এসেছে। ওখানে গিয়ে দেখি মায়ের শরীরের সাথে নাড়ি দিয়ে জুড়ে থাকা অবস্থায় ঝুলছে শিশুটি। ওই অবস্থাতেই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি আমরা।”

কাটনী সিভিল হাসপাতালের সার্জেন, ডাক্তার যশবন্ত ভার্মার কথায়, “ওই নারী নয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তিনি যখন ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েছেন, তখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণেই প্রায় দুই কেজি ওজনের সন্তানটি মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে। জীবিত অবস্থায় মানুষ অনেক কিছুর ওপরেই নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, কিন্তু মারা যাওয়ার পরে তো সেই নিয়ন্ত্রণটা থাকে না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।”

কেমন আছে নবজাতকটি?
হাসপাতালে মৃত মায়ের শরীর থেকে বেরিয়ে আসা নবজাতকটির শারীরিক অবস্থা শুরুতে বেশ বিপজ্জনক ছিল। কিন্তু হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করার পরে আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল।

মৃত নারী লক্ষ্মী সিংয়ের স্বামী সন্তোষ সিং বলছেন, পরিবারে সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। তবুও যে কেন স্ত্রী আত্মহত্যা করল, সেটাই কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।

সন্তোষ এবং লক্ষ্মীর আগেই চারটি সন্তান রয়েছে – দুটি কন্যা এবং দুই পুত্র।

তিনি জানান, “প্রতিদিনের মতো পুরো পরিবারের সবাই খাওয়া-দাওয়া করে রাতে শুয়ে পড়েছিলাম। সকালে ৬টার দিকে আমার ঘুম ভাঙে, তখনই স্ত্রীকে দেখতে পাইনি। অন্য সন্তানরা বিছানাতেই ছিল। স্ত্রীকে খুঁজতে গরুর গোয়ালে গিয়ে দেখি সেখানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে আর আমার সন্তান পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে।”

এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ এবং মৃত নারীর পরিবার, কেউই এখনও বুঝে উঠতে পারেনি যে লক্ষ্মী সিং কেন আত্মহত্যা করলেন।

উৎসঃ নয়া দিগন্ত।

Logo-orginal