, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

admin admin

প্রবাসীদের ভোট গ্রহণে বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও এবার ব্যর্থ ইসি

প্রকাশ: ২০১৮-১২-১৮ ২১:০২:৫৯ || আপডেট: ২০১৮-১২-১৮ ২১:১৯:৩৭

Spread the love

কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের ভোটাধিকার আজও নিশ্চিত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। আসন্ন নির্বাচনেও সময় স্বল্পতায় কারণে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ইসি। প্রবাসীদের ভোট গ্রহণে বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও ইসির ব্যর্থতাতে দুষছেন সুশীল সমাজ। খবর সময় টেলিভিশনের ।

নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু সময় চলে যায় নির্বাচনও হয়, শুধু প্রত্যাশা পূরণে গুড়ে বালি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারছেন না প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, প্রবাসীদের কাছ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও সদিচ্ছা ও সক্ষমতার অভাব রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর সাদাত বলেছেন, পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন একাজে ব্যর্থ হচ্ছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেছেন, আমাদের চিন্তা করতে হবে ভোট দেয়ার পদ্ধতিটা কীভাবে হবে? সেটা পোস্টার ব্যালটে ভোট দেবেন নাকি দূতাবাস গিয়ে প্রবাসীরা ভোট দেবেন। নিউওয়ার্কে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি, কাজেই দূতাবাসের পক্ষে এধরনের কাজ করা এতোটাও সহজ কাজ নয়।

নির্বাচন কমিশন জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্রধারী প্রবাসী কেউ চাইলে দেশে এসে ভোট দিতে পারবেন। তবে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে কোনো মাধ্যমে তাদের ভোট গ্রহণ সম্ভব নয়।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস. এম. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ভোট আবেদন করবে, ভোট দেবে আবার আসবে, আরো অনেক কাজ আছে। কাজেই এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতো কাজ করা সম্ভব হবে না।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বাকি নেই বেশি দিন। দেশব্যাপি ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকলেও প্রবাসীদের মনে নানা ক্ষোভ ভোট দিতে না পারা বেদনায়।

প্রবাসীরা বলছেন, আমরা প্রবাসীরা দেশের নির্বাচনে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ পাই না। সরকার যদি প্রবাসীদের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করতো তাহলে আমরা বিদেশে থেকেও ভোট দিতে পারতাম।

১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১ কোটি মানুষ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ প্রবাসী রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রবিহীন। স্বাধীনতার পর ১০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও কোনো নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি প্রবাসীরা।

Logo-orginal