, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সীতাকুণ্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবলীগ নেতা নিহত

প্রকাশ: ২০১৮-১২-৩১ ১৯:৪৫:১৯ || আপডেট: ২০১৮-১২-৩১ ১৯:৪৫:১৯

Spread the love

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবলীগ নেতা নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত যুবলীগ নেতার নাম মোঃ দাউদ সম্রাট। আহত হয়েছেন যুবলীগ নেতা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সোমবার বিকেল ৪টায় পৌর সদরের ভোলাগিরি রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সম্রাট গ্রুপ ও শহীদ গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন। অপর দিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন এ ঘটনার জন্য এমপি সমর্থিত শহিদ ওরফে ডাকাত শহিদকে দায়ী করছেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত দাউদ সম্রাট (৩০) সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ওই এলাকায় মৃত আবু হোসেনের পুত্র। আর সাজ্জাদ হোসেন (২৮) পৌর যুবলীগ নেতা এবং একই এলাকার আলী রাজ্জাকের পুত্র। তারা দুজনেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-০৪ সীতাকুণ্ড আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোঃ দিদারুল আলমকে অভিনন্দন জানানোর জন্য যুবলীগ নেতা শহিদ তার লোকজনকে নিয়ে এমপির বাড়িতে যাওয়া জন্য জড়ো হচ্ছিল। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন জানান, এ সময় সন্ত্রাসী শহিদ যুবলীগ নেতা সাজ্জাদকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা জানতে পেরে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দাউদ সম্রাট ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ জানান। এসময় শহিদের লোকজন সম্রাটকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তখন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল ইসলাম বলেন, বিকেলে আহত অবস্থায় দাউদ সম্রাট ও সাজ্জাদ হোসেন নামে দুইজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার দাউদকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন আছে বলে জানান তিনি।

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শিরিন বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার সময় আহতদের মেডিকেলে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। দাউদের বুকে ও পেটে আর সাজ্জাদের মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন বলেন, ডাকাত শহীদ গ্রুপ ও দাউদ গ্রুপের দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের কারণেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকাতে পারে। উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবেলায় পৌরসদর জুড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। উৎসঃ নয়া দিগন্ত।

Logo-orginal