, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আরাকান আর্মির এবং আরসার তিন ঘাটি” কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

প্রকাশ: ২০১৯-০১-০৯ ১৯:১৭:২৬ || আপডেট: ২০১৯-০১-০৯ ১৯:১৭:২৬

Spread the love

বাংলাদেশে আরাকান আর্মির এবং আরসার তিনটি ঘাটি রয়েছে বলে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে যেসব খবর প্রকাশ করা হয়েছে -তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে দেশটি জানিয়েছে, ওই অভিযোগ পুরোপরি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দেশটির সতর্কতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের কোথাও বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব নয়।

“কারণ প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে এ ধরণের কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য কাউকে সুযোগ দেয় না বর্তমান সরকার।” সংবাদ বিবিসি বাংলার।

গত ৪ঠা জানুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে রাখাইনে চারটি পুলিশ পোস্টে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য নিহত হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে গত ডিসেম্বর থেকেই আরাকান আর্মি ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ জোরদার হতে থাকলে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়।

তবে সোমবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের অফিসের মুখপাত্র যাউ হতাই একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “বিছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি এবং আরসা সন্ত্রাসীগ্রুপগুলো বাংলাদেশে ঘাটি গেড়ে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।”

ওই বক্তব্যের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ বলছে, ”আমরা জোরালোভাবে বলছি যে, বাংলাদেশে কোন বিদেশী সন্ত্রাসী গ্রুপের উপস্থিতি নেই অথবা এ ধরণের কোন গ্রুপকে বাংলাদেশ কখনো আশ্রয়প্রশ্রয় দেয় না। ”

“দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে, এরকম যেকোন ঘটনা এড়াতে সীমান্ত রক্ষীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে।”
পুলিশ পোস্টে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর টহল।
পুলিশ পোস্টে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর টহল।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস প্রতিরোধে প্রতিবেশী অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ অভিযান অত্যন্ত সফল হয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে একই ধরণের সহায়তার প্রস্তাব করা হয়েছিল মিয়ানমার সরকারকে। সীমান্ত এলাকায় দাবি করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এলাকায় যৌথ অভিযান চালানোর জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছে।

“কিন্তু দুঃখজনকভাবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ততটা আগ্রহ দেখা যায়নি। এমনকি অভিযোগ করা সন্ত্রাসী ঘাটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিবরণ ও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার,” বিবৃতিতে বলা হয়।

এ ধরণের অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ বলছে, মিয়ানমারের বর্তমান সহিংসতা দেশটির নিজস্ব রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণেই ঘটছে। তার নিজের রাজনৈতিক সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশকে না জড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছে দেশটি।

Logo-orginal