, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Avatar rtm

সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর ভুয়া আইডি থেকে এসএসসির প্রশ্নফাঁস, সাতক্ষীরায় গ্রেফতার ১

প্রকাশ: ২০১৯-০১-৩০ ১৪:৫৭:৫৮ || আপডেট: ২০১৯-০১-৩০ ১৪:৫৭:৫৮

Spread the love

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ তিনটি নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের এক সদস্যকেগ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। তার নাম ইশতিয়াক।

মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরার পলাশপোল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ইশতিয়াক রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর ভাটপাড়া গ্রামের নুর আলম নান্টুর ছেলে। সে নিজে এবার রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

ইশতিয়াক আহমেদ ইয়াকুব গত বছর তার সরবরাহকৃত গণিত ও বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র হুবহু সঠিক ছিল বলে স্বীকার করেছে। এবারও সে ৮০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহের কথা দিয়ে টাকা সংগ্রহ করছিল।

র্যাব ৬-এর সাতক্ষীরা কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার জাহিদুল কবির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ইশতিয়াক সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর নামে খোলা ভুয়া ফেসবুক আইডিসহ এঞ্জেল শাকিলা ও নিজের নামে তিনটি আইডি খুলে এ প্রতারণা করে আসছে। এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ এবং তা বিতরণের জন্য ৮০ জনের সঙ্গে সে যোগাযোগ রক্ষা করে। ওই শিক্ষার্থী স্বীকার করেছে যে এই চক্রের সঙ্গে আরও জড়িত রয়েছে অপূর্ব নীল, নীলাকাশ, নব্য হিটলার ও প্রিন্স খান নামে কয়েকটি আইডি। তাদের অবস্থান ঢাকা ও খুলনায়। তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

র্যাব কমান্ডার আরও জানান, প্রতারক চক্রটি SSC XM 19K নামে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। এ জন্য একটি বিকাশ নম্বরও দেয়া হয় (০১৭৪৩৮৫৩৩৭৭)। এই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালে প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে বলেও জানায় ইশতিয়াক ও তার চক্রটি।

গ্রেফতারকৃত ইশতিয়াক জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী ব্যক্তি তার চক্রের মধ্যেই রয়েছে। তবে অন্যদের অবস্থান ঠিক কোথায় তা সে জানে না বলে জানিয়েছে।

র্যাব কোম্পানি কমান্ডার জানান, ইশতিয়াক তার বাবার ফোনটি এ কাজে ব্যবহার করতো। তার মেডিকেল টেকনিসিয়ান বাবা নুর আলম নান্টুকে তার কর্মস্থল পলাশপোলের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়। পরে তার সূত্র ধরে শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে ইয়াকুবকে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।

উৎস: যুগান্তর

Logo-orginal