, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

পুষ্পমাল্যর পরিবর্তে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেয়া লোহাগাড়া ইউএনওর পোস্ট ভাইরাল”

প্রকাশ: ২০১৯-০২-০৯ ১২:৫৫:৫৭ || আপডেট: ২০১৯-০২-০৯ ১২:৫৫:৫৭

Spread the love

সুজন দাশ,লোহাগাড়া,চট্টগ্রামঃ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে অহেতুক ব্যয় না বাড়িয়ে সে ফুলের টাকা দিয়ে ফুলের গাছ সহ নানান জাতের গাছ কিনে তা ঐ আমন্ত্রিত অতিথি দিয়ে কোন একটি জায়গায় লাগিয়ে দিয়ে নাম সহ সংরক্ষন করার একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেন লোহাগাড়া বর্তমান জনপ্রিয় উপজেলা নির্বাহী জনাব আবু আসলাম।

ইউএনও লোহাগাড়া নামের আইডি থেকে পোস্টকৃত এই স্ট্যাটাসটি লোহাগাড়া সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলা যায়। অনেক ইউজার এই পোস্টটি কপি করে তাদের আইডি থেকে ও শেয়ার করে ইউএনও কে উৎসাহ দিচ্ছেন।

উনার পোস্টটি ছিলো এরকম——-
প্রিয় লোহাগাড়াবাসী,
আসসালামু আলাইকুম/আদাব/নমস্কার,

আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অমি প্রায় আট মাস যাবৎ আপনাদের এলাকায় কাজ করছি। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে ঋণী করে তুলেছে । আপনাদের সাথে কাজ করে আমি খুবই মুগ্ধ এবং গর্বিত। এই কয়েক মাস কাজ করে আমার এই প্রতীতি জন্মেছে যে আপনারা খুবই অতিথি পরায়ণ। অতিথির আপ্যায়ন করতে আপনারা অনেক কিছু করেন। কোন অনুষ্ঠানে আপনারা প্রথমে অতিথি কে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন , তারপর পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেন। বিষয়টি বেশ ভালো। তবে চাইলে
এক্ষেত্রে একটা ইনোভেশন বা নতুন কিছু করা যায়।

এ বিষয়ে আমি আমার একটা মনের বাসনা বিনয়ের সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।

” আমরা অনুষ্ঠানের দিন একটি ফুলের চারা কিনে রাখতে পারি এবং চারাটি রোপন করার একটি জায়গা নির্ধারণ করে রাখতে পারি। অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথি মহোদয়ের মাধ্যমে চারাটি রোপণ করিয়ে অনুষ্ঠান এর পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।

এর কিছু ভালো দিক আপনাদের কে সদয় অবগত করতে চাই :

১. যে টাকা ফুলের তোড়ায় খরচ হয় এখানে তার চেয়ে কম খরচ হবে।
২. অনুষ্ঠানে আগত শিশু কিশোর যারা ভবিষ্যতে Delta Plan বাস্তবায়ন করবে তারা নতুন আইডিয়া পাবে ও উৎসাহিত হবে।
৩. ফুলের তোড়া বানাতে পলিথিন বা অপচনশীল দ্রব্যের ব্যবহার হয়ে থাকে যা পরিবেশ এর জন্য ক্ষতিকর।
৪. অনুষ্ঠান শেষ হলে ওই তোড়া যেখানে সেখানে পড়ে
থাকে যা দৃষ্টিকটু।
৫. ফুলের একটি চারা রোপিত হলে তা সামান্য পরিমাণ হলেও অক্সিজেন দিবে এবং ক্ষতিকর কার্বন শোষণ করবে।
৬. ফুলের মালা বা তোড়া দিয়ে বরিত না হয়ে উল্টো গাছ রোপন করেও আমন্ত্রিত অতিথি সম্মানিত বোধ
করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আসুন আমরা সবাই গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে নতুন এই সামান্য কাজ করি। বিষয়টি খুবই মামুলি। তবে বাংলাদেশের সবাই যখন আমাদের মতো এই রকম শুরু করবে তখন কিন্তু তা সংখ্যা ও পরিমাণে অনেক বড় হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু তো একটা করা হবে। এই সুন্দর দেশে জন্মের ও দায় আছে বলে আমি মনে করি।

পরিশেষে, একটি জিজ্ঞাসা সবার কাছে : আমরা কর্মস্থলে কিংবা বাড়িতে যে আসবাবপত্র ব্যাবহার করি তা তৈরি করতে যে গাছের কাঠ লেগেছে তা কি আমরা রোপন করেছিলাম?

আমার মত একজন সাধারণ মানুষের লেখা পড়ার জন্য সবাই কে ধন্যবাদ।

তবে বাংলাদেশ একদিন সোনার বাংলা হবে নিশ্চিত!
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

নিবেদক ,

আবু আসলাম
উপজেলা নির্বাহী, লোহাগাড়া চট্টগ্রাম।

Logo-orginal