, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

মাদকসেবীদের ছুরিকাঘাতে চট্টগ্রামে যুবক খুন

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-০৭ ১২:৪৫:০৮ || আপডেট: ২০১৯-০৩-০৭ ১২:৪৫:০৮

Spread the love

চট্টগ্রামঃ ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুন খুন হওয়ার ছয় মাস পার না হতেই আবারো খুনের ঘটনা ঘটল কর্ণফুলীতে। এবার মাদকসেবীদের হাতে খুন হলেন আজগর আলী (৩০) নামে এক যুবক। খবর দৈনিক আজাদীর।

গত ৫ মার্চ রাত ১২টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী শিকলবাহা ক্রসিংয়ের আজম আলী পেট্রোল পাম্প এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার এবং এক যুবতীকে (২২) আটক করেছে।

এ ঘটনায় নিহত আজগর আলীর বাবা মো. ছালেহ বাদী হয়ে দুই জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিকলবাহা ক্রসিংয়ের আজম আলী পেট্রোল পাম্প এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় গত ৫ মার্চ রাতে কয়েকজন যুবক মিলে দরজা বন্ধ মাদক সেবন করছিল। এ সময় আজগর ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে ভেতরে থাকা মাদকসেবীরা দরজা খুলে না দেয়ায় তাদের সাথে আজগরের তর্কাতর্কি হয় এবং এক পর্যায়ে সে লাথি দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকসেবীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে ভবনের নিচে নেমে যায়। আহতাবস্থায় আজগর নিচে নামতে গেলে মাদকসেবীরা আবারও তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার এসআই মোহাম্মদ হোসাইন জানান, আজগর এক যুবতীকে নিয়ে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশের চেষ্টা করলে মাদকসেবীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ছুরিকাঘাতের চি‎হ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক যুবতীর দেয়া তথ্য মতে খুনের ঘটনায় তিনজন অংশ নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বুধবার রাতে আজগরের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দারের করেছেন। আসামিদের চি‎‎হি্নত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

সিএমপির কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবতীর কাছ থেকে যুবক খুন হওয়ার বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে বাকিটা জানা যাবে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গতকাল দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সাধারণ মানুষের ভীড়। কথা হয় নিহতের ভাই সাজ্জাদ হোসেনের সাথে। তিনি জানান, তার ভাইকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদকসেবীরা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। তিনি আরো জানান, তার ভাই আজগর তাদের মালিকানাধীন একটি লেগুনা চালাতো। মাঝে মধ্যে ড্রাইভারকেও চালাতে দিত। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিকলবাহা ক্রসিং এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছিল আজগর। রাত ১১টার পর কে বা কারা মোবাইল ফোনে তাকে (আজগর) ডেকে নিয়ে যায়।

পরে রাত ১২টায় আমি ঘুমিয়ে পড়লে আজগরের বন্ধু সোহেল আমাকে ফোন করে বলে ‘আজগরকে কারা যেন মেরে ফেলেছে’। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তার লাশ। পরে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে বাড়িতে আনে। তিনি বলেন, তারা দুই ভাই ও তিন বোন। ভাইদের মধ্যে আজগর বড় ছিল। নিহতের মা আমেনা বেগম ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর নিহত আজগর আলীর জানাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

Logo-orginal