admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৪-২৩ ১৫:৩৮:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-০৪-২৩ ১৫:৪৭:৪৩
চট্টগ্রামঃ ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এক আসামি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠে সোমাবার রাতে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান। নিহত আসামির নাম মো. জাবেদ (২২)।
পুলিশ কর্মকর্তা আশিক বলেন, একদল লোক ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে জাম্বুরি মাঠে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে ডবলমুরিং থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছানোর পর তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করে, পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি থামলে সেখানে জাবেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর বিডিনিউজের ।
তিনি বলেন, জাবেদকে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি চায়নিজ পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, দুটি এলজি, ১৩ রাউন্ড গুলি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান আরও জানান, জাবেদ পাহাড়তলী এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি। সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ার সময় জাবেদ ছুরি মেরেছিল, ভিডিও ফুটেজে সেটা দেখা গেছে। জাবেদের কাছে যে চায়নিজ পিস্তলটি পাওয়া গেছে, সেটি সরকারি কোনো সংস্থার বলে মনে হচ্ছে।
পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে হয়ে গত ৭ জানুয়ারি সকালে মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা সে সময় বলেছিলেন, বাজারের লোকজন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিন্তু মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে, পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনো হয়েছে। এরপর সোহেলের ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ সম্পাদক সোহেল তার আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিতি ছিলেন এলাকায়।