admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৪-০৫ ২৩:১৩:৫৫ || আপডেট: ২০১৯-০৪-০৫ ২৩:১৩:৫৫
প্যারোলে দলীয়প্রধানের মুক্তির পর জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন বিএনপির নির্বাচিতরা। দলের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।একাদশ সংসদ নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরও এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে- এ কারণে প্রকাশ্যে তারা মুখ খুলছেন না।
বিএনপির একটি সূত্রের দাবি, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে যে আলোচনা চলছে তার সঙ্গে বিএনপির বিজয়ীদের শপথ নেয়ার বিষয়টিও রয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি ২৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা ৯০ হাজার মামলা প্রত্যাহার এবং স্বাভাবিক রাজনীতি করার নিশ্চয়তা পেতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি নির্ভর করছে বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর।
অপর একটি সূত্রের দাবি, বিগত বিএনপি সরকারের আমলে যারা প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অনেকেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না। তারা দলের ক্লিন ইমেজসম্পন্ন এক নেতার কাঁধে ভর করে খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি এবং দলের নির্বাচিতদের শপথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন। এজন্য ওই ক্লিন ইমেজের নেতাকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহল থেকে অ্যাডভোকেসি করা হচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা শেষ বয়সে তাদের রাজনীতি ধরে রাখতে এ প্রক্রিয়ায় শামিল হচ্ছেন।
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ‘খালেদা জিয়ার কাছে তারা যতটা মূল্যায়িত হন, তারেক রহমানের কাছ থেকে তারা সেটা পান না, পাবেনও না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে এ পথে হাঁটছেন তারা।সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর বিএনপির নেতাদের শপথের বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর গত সোমবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের একটি বৈঠকেও এ নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত মোশারফ হোসেন বলেন, ‘দলের নির্বাচিতরা শপথ নিচ্ছেন না, স্থানীয় নির্বাচনেও আমরা অংশ নিচ্ছি না। কেউ নিলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তা হলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে?’ শপথ গ্রহণের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. হারুন উর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মহাসচিবও নির্বাচিত, তার কাছে জিজ্ঞাসা করেন। আমরা তো দলীয় শৃঙ্খলার মধ্যে থাকি। উনিও তো একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য।’