, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

কাশ্মীর ইস্যুতে শাহীদ আফ্রিদি ও গৌতমের টুইটার লড়াই”

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৯ ২০:০০:০৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৯ ২০:০০:০৯

Spread the love

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানি সাবেক তারকা শাহীদ আফ্রিদি ও ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের মধ্যে লড়াইটা যেন চরমে উঠেছে। গতকাল আফ্রিদি বলেছেন, তিনি নিয়ন্ত্রণরেখায় পৌঁছে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াবেন। আর তার পরই গম্ভীর ভালোভাবে এর জাবাব দেন।

গতকাল বুধবার টুইটারে আফ্রিদি লেখেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সবার এগিয়ে আসা উচিত। শুক্রবার ‘মাজার এ কুয়াই’ -এ দুপুর ১২টার সময় আমি থাকছি। ৬ সেপ্টেম্বর এক শহীদের বাড়িতেও যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তা ছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখায় দেখা হচ্ছে।’

আফ্রিদির এই টুইটের জবাবে গম্ভীর লেখেন, ‘এই ছবিতে শাহীদ আফ্রিদি নিজেকেই প্রশ্ন করছেন, এমন কোনো কাজ করলে শাহীদ আফ্রিদিকে লজ্জিত করা যায়! সেইসঙ্গে আরো একবার প্রমাণিত হলো, এখনো পরিণত হতে ওর অনেক সময় লাগবে। তাই আমি ঠিক করেছি, অনলাইন কিন্ডারগার্টেন টিউটোরিয়াল অর্ডার করে ওকে পাঠাব।’

এদিকে কাশ্মীরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদ। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘শান্তির পতাকা হাতে নিয়ে পাকিস্তান সীমান্তে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ক্রীড়াজগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশেষ ব্যক্তিত্বদের আমার সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কাশ্মীরিদের সঙ্গে শান্তি নিয়ে চর্চা করব বলে ঠিক করেছি। কাশ্মীরের মানুষদের উপর অত্যাচার থামানো না হলে আমি একাই সীমান্তে গিয়ে শান্তির বার্তা দেব। ওদের পাশে আছি।’

এই কিছুদিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভায় প্রবল হট্টগোলের মধ্যে এই ঘোষণা দেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। এর প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।

রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে মোদির সরকার বাতিল করে দেয় ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরোও করে দেওয়া হলো। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হলো নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হলো। এখন থেকে তার পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে। তবে তার বিধানসভা থাকবে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিচালিত করবেন দুই লেফটেন্যান্ট গভর্নর। সুত্রঃ এনটিভি।

Logo-orginal