, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ফের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ জন নিহত

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০৩ ১০:৪৭:৪১ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০৩ ১০:৪৭:৪১

Spread the love

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদল ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‘রোহিঙ্গা ডাকাতসহ’ চারজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার নুরউল্লাহঘোনা নামক পাহাড় ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগাহছড়া এলাকায় পৃথক এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহতরা ডাকাত দলের সদস্য ও ইয়াবা কারবারি। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি দেশীয় তৈরি এলজি, পাঁচটি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার মো. আয়ুব (৩৫), মো. জুনায়েদ (৩৩), টেকনাফ পৌর এলাকার মেহেদী হাসান (৩২) ও মাদারীপুর কালকিনির ইমরান মোল্লা (২৭)। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে ওই এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি চিহ্নিত রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম, পলাতক আসামি জুনায়েদ, আয়ুব, মোস্তাকসহ ১০-১৫ জন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন খবর আসে।

এর ভিত্তিতে অতিরিক্ত ফোর্সসহ অভিযানে নামে পুলিশ। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, ওসি প্রদীপ, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব, কনস্টেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ডাকাত আয়ুব, জুনায়েদ, মেহেদী হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগারছড়া নামক স্থানে ইয়াবা কারবারিদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে ইমরান মোল্লা গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় ঘটনাস্থল হতে অপর দুই ইয়াবা কারবারিকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম এনায়েতপুর এলাকার মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফ উপজেলার হাতিরঘোনার মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (২৭)।

এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।সুত্রঃ যুগান্তর ।

Logo-orginal