, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

পুরো বস্তি পুড়িয়ে শান্ত হল সে আগুনের ভয়াবহতা

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১৭ ০১:১৮:৩৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১৭ ০১:১৮:৩৯

Spread the love

রাজধানীর মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনে চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে তার আগে ওই বস্তির দুই থেকে আড়াই হাজারের ঘরের প্রায় সবগুলোই পুড়ে গেছে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর-৭ নম্বরে রূপনগর থানার পেছনে চলন্তিকা বস্তিতে আগুন লাগে। চলন্তিকা মোড় থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত ঝিলের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে ছোট ছোট ঘর বানিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল বস্তিটি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।

আগুনের ব্যাপকতা দেখে পরে আরও ইউনিট বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ২০টি ইউনিট কাজ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বস্তিতে দুই থেকে আড়াই হাজার ঘর ছিল।

অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। তবে তারা আগুনে দগ্ধ হয়েছেন না কি অন্য কোনোভাবে আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।

আগুনে বাঁশ, কাঠ ও টিনের চালা দিয়ে তৈরি বস্তির সারি সারি ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। চোখের সামনে নিজেদের থাকার ঘর, জিনিসপত্র ও জীবনের সঞ্চয় পুড়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বস্তিবাসীরা।

আব্দুস সাত্তার নামে এক বস্তির বাসিন্দা বলেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। ঘর থেকে কিছুই আনতে পারিনি। পরনের কাপড় ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। টাকা, আসবাবপত্র, কাপড়, টিভি, থালা-বাটি সব পুড়ে গেছে!

এই বস্তিতে হাজারখানেক পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তবে বাসিন্দার সংখ্যা সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারেননি কর্মকর্তারা।

এদিকে, আগুন লাগা বস্তি পরিদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগুন লাগানোর মতো মানসিকতা কারও নেই।

বস্তিবাসীর অভিযোগ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, এটা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। কিন্তু এমন মানসিকতা কারও নেই যে, আগুন লাগাবে। বস্তিতে যারা থাকেন তারাও মানুষ, যারা বস্তির বাইরে থাকেন তারাও মানুষ। সবার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক আছে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় না ইচ্ছে করে কেউ এখানে আগুন লাগিয়েছে। বাউনিয়া বাঁধে তাদের স্থানান্তরের জন্য ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে বস্তিবাসীর অধিকাংশ সেখানে চলে যাবে। কিভাবে আগুন লেগেছে সেটা তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।

Logo-orginal