, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

বাড়ি থেকে বের হতেই ঘাতক ট্রাক যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে দুলাভাই ও শালার উপর

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২০ ১০:২২:২৬ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২০ ১০:২৮:৫১

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, পটিয়াঃ দুলাভাই আদরের শালাকে ঢাকার চেয়ারকোচে তুলে দিতে রওনা হয়েছিল শহরের উদ্দেশ্য, কিন্ত বেশীদুর যেতে পারেনি, কিছু বুঝে উঠার আগে তাদের উপর আছড়ে ঘাতক ট্রাক, শহর অভিমুখী দুলাভাই ও শালাকে কক্সবাজার অভিমুখী ট্রাকটি চাপা দেয় নিহতদের বাড়ির পাশেই, মুহুর্তে স্তব্দ হয়ে পড়ে দুটি পরিবার, নীরব আর শোকহত হয়ে পড়ে পুরো পটিয়া, রাতের আঁধারে পৌরসভা এলাকা গুরে দেখা যায় বাকরুদ্ধ স্বজনদের করুন আহাজারি ।

সড়ক যখন মরণফাদ, কাঁদবে তোর মা বাপ” সে কথার কলি ডাঃ শাহাজাহন ও ব্যাংক অফিসার রফিকুল ইসলাম আরজুর জীবনে ইতিহাস হয়ে রইল ।

গতকাল সোমবার রাত তখন ১০ টার কিছু পর দুলাভাই ডাঃ শাহাজাহান শালা আরজুকে ঢাকার কোচে উঠিয়ে দিতে বাড়ি থেক বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিছক্ষণ পর বের হয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে রওনা দেয় নগরীর উদ্দেশ্য, কিন্তু নিয়তির নির্মম লিখনি, নিহত আরজুর বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার যেতে কক্সবাজার অভিমুখী পণ্যবাহী ১টি ট্রাক হঠাত উল্টে চাপা দেয় দুলাভাই শাহজাহান ও শালা আরজুকে ।

রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌরসভার আমজুর হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনার পর স্তব্দ হয়ে পড়ে পুরো পটিয়া, শোকের নগরীতে পরিণত হয় পটিয়া পৌরসভা ।

আমজুর হাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম আরটিএমকে জানান, আমাদের বাজারে রাতের আঁধারে কিছু বুঝার উঠে আগেই ট্রাকটি উল্টে পড়ে চাপা দেয় মোটর সাইকেলকে, চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসেও ট্রাকের নীচে চাপা পড়া শাহাজাহান ও আরজুকে উদ্ধারে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, ততক্ষণে দুলাভাই আর শালা পরপারের বাসিন্দা ।

পরে পটিয়া ও হাইওয়ে থানার পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে ডাক্তার উভয়কে মৃত ঘোষণা করে ।

নিহতরা হলেন পটিয়া পৌর সদরের ১নং ওয়ার্ডের কাগজী পাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে ডা. শাহাজাহান (৪৫) ও তার শ্যালক ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম আরজু (৩৬)। তিনি একই এলাকার জহির আহম্মদের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর মরহুমদের জানাযা শেষে দাফন করা হবে ।

আরটিএম মিডিয়া নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন । আমিন ।

Logo-orginal