admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৩ ০৮:৩৭:৩৪ || আপডেট: ২০১৯-০৯-০৩ ০৮:৩৭:৩৪
মুহাররম মাসের করণীয় এবং ফজিলত।
১. মুহাররাম কি?
এটি আরবী ১২ টি মাসের মধ্যে সন্মানিত ৪ টি মাসের একটি। তাছাড়া এটি আরবী বছরের প্রথম মাস।
২. মুহাররামের সিয়াম :
রাসূল বলেছেন, রামাদানের পর সবচেয়ে উত্তম সিয়াম হল মুহাররাম মাসের সিয়াম (সহিহ মুসলিমঃ ১৯৮২)।
৩. আশুরা :
মুহাররামের ১০ম দিনকে আশুরা বলা হয়। এদিন আল্লাহ্ মুসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর জাতিকে ফেরাউনের জুলুম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এ উপলক্ষে ইহুদীরাও এ দিন সিয়াম পালন করতেন।
৪. আশুরার সিয়াম :
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর দেখেন ইহুদীরা এ দিনে সিয়াম পালন করছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমরা মূসার অনুসরণ করার ব্যাপারে তােমাদের চাইতে অধিক হকদার। তিনি নিজে সে দিনের সিয়াম পালন করলেন এবং সাহাবীদেরকেও নির্দেশ দিলেন। (বুখারিঃ ১৮৬৫)।
৫. আশুরার সিয়ামের ফজিলত :
এদিনের সিয়ামের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন (সহিহ মুসলিমঃ ১১৬২)।
৬. মুহাররামের ৯ তারিখেও সিয়াম পালন করা :
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদিদের ব্যতিক্রম করতে বলেছেন। যেহেতু এদিন ইহুদিরাও সিয়াম রাখে তাই তাদের ব্যতিক্রম স্বরুপ ৯ মুহাররামেও সিয়াম পালন করা উচিত। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি যদি আগামী বছর বেচে থাকি তাহলে ৯ এবং ১০ দুদিনই সিয়াম রাখবাে। (সহিহ মুসলিমঃ ১৯১৬)।
৭.বর্জনীয় আমলসমূহ :
এ দিনকে কারবালার দিন হিসাবে উদযাপন করা। হুসেইন (রা:) এর মৃত্যুর স্মরনে শরীরে আঘাত করা, শরীর রক্তাক্ত করা, তাজিয়া মিছিল ইত্যাদি করা সবই বর্জনীয় আমল। এগুলাে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবীগণ (রা:) থেকে প্রমাণিত নয়।
সংকলনে: সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম-দুবাই।