, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

jamil Ahamed jamil Ahamed

হিজাবের বিরুদ্ধে রাস্তায় হাঁটছে দুঃসাহসী এক সৌদি যুবতি

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৪ ১০:২৭:৪১ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৪ ১০:২৭:৪১

Spread the love

নিউজ ডেস্কঃ এক দুঃসাহসী নারীর নাম ৩৩ বছর বয়সী মশিল আল জালোদ। সৌদি এই নারী সাদা-কালোর বোরকা আর হিজাবের জায়গায় তিনি একেবারে রঙিন, পশ্চিমী পোশাকের ছোঁয়ায় হাঁটছেন রাস্তায়, অবাক আর বিস্ময় মনে তাকিয়ে সবাই ।

পরনে বোরকা নেই। মাথায় নেই সৌদি আবায়াও। রিয়াদের একটি শপিং মলে পশ্চিমা ধাঁচের খোলামেলা পোশাক পরে চুল উড়িয়ে চলছেন রক্ষণশীল সৌদি আরবের এক দুঃসাহসী নারী। সংবাদ এপির ।

ইসলামী শাসন ব্যবস্থার এ দেশটিতে এমন পোশাক নিষিদ্ধ হলেও কয়েক মাস ধরে এভাবেই স্বাধীন চলাফেরা করছেন ৩৩ বছর বয়সী মাশায়েল আল-জালুদ।

জালোদ পেশায় মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি নারী স্বাধীনতা নিয়ে নিজের মতো করে আন্দোলনে নেমেছেন। হিজাব, বোরকা ছেড়ে শার্ট, ট্রাউজারেই তিনি রিয়াদের রাস্তায় নামছেন, অফিসে যাচ্ছেন।

আপাদমস্তক হিজাব পরিহিতা নারীদের মাঝে তিনি একেবারেই ব্যতিক্রম। তাই রাস্তায় বের হলেই সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকেন তিনি। অনেকেই আবার ডেকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি মডেল? নাকি বিখ্যাত কেউ? নির্মল হাসিতে জালোদ উত্তর দেন, না, আমি সাধারণ সৌদি নারী। কিন্তু আমি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। কোনও নিষেধাজ্ঞা ছাড়া। আমি কী পরব না পরব, তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। তবে এভাবে চলার জন্য তাকে একাধিকবার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে যাননি জালোদ।

তাকে দেখে অনেক সৌদি নারীই এগিয়ে আসছেন পোশাক বিপ্লবে অংশ নিতে। তার মতো হয়ত এতটা আধুনিক পোশাক পরছেন না কেউ। তবে অন্যরকম পোশাকেও বেরুচ্ছেন অনেকেই। সেসব ছবি আবার সাহস করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করছেন। শুধু কি তাই? রূপচর্চাতেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সৌদি নারীদের জীবনে। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পার্লারে যাতায়াতও বেড়েছে অনেক।

এতদিনের চাপিয়ে দেওয়া নিয়মের শেকল ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছে কট্টরপন্থি সৌদি। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নারীদের হিজাব, বোরকা আর বাধ্যতামূলক রাখা হবে না। এমন আশ্বাসেই অনেক নারীরাই নিজেদের পাল্টে ফেলছেন। এভাবেই পোশাক বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের জীবনযাত্রা পাল্টে ফেলতে চাইছে সৌদির নারীরা।

Logo-orginal