, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আবারো পেঁয়াজেের ঝাঁজে বেহাল ক্রেতারা” কেজি ১১০ টাকা

প্রকাশ: ২০১৯-১০-২৩ ১৯:৩০:৩৪ || আপডেট: ২০১৯-১০-২৩ ২০:৩৯:৩২

Spread the love

চট্টগ্রামের ফের বাড়ল পেঁয়াজের দাম, দাম শুনে লাফিয়ে উঠছে অনেক ক্রেতা।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে নগরীর বহদ্দারহাটে প্রতি কেজি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

আরটিএমনিউজের প্রতিবেদক সরজমিনে ঘুরে এই তথ্য সংগহ করেছেন।

মুলত ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়েছিল গত ২ সপ্তাহ আগে ।

এরপর সরকারী উদ্যোগে মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে দাম কমে প্রায় আগের পর্যায়েই ফিরে এসেছিল।

দেশের আমদানি পণ্যের অন্যতম পাইকারি মোকাম চট্টগ্রামের চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৫০, ৫৫ ও ৬০ টাকা দরে।

মিয়ানমার থেকে আমদানি করা সবচেয়ে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। সেই দেশের নিম্নমানের পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তবে গত রোববার থেকে আবারো হু হু করে বেড়ে চলছে পেঁয়াজের দাম, ১১০ টাকা দরে পেয়াজ ক্রয়ে হাঁপিয়ে উঠছে ক্রেতারা।

বহদ্দারহাটের এক দোকানী আরটিএমকে জানান, ক্রেতারা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ক্রয়ে আগ্রহী বেশী, অন্যদিকে বাজারে আমদানি বন্ধ আছে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের। এই অবস্থায় পুর্বে মজুদ থাকা পেঁয়াজেে অধিক মুনাফা করছে আমদানিকারকরা।

তবে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করেছিল
ভারতের বিকল্প দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার ফলে পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে, কদিন স্থিতি থাকার পর ফের আগুন লেগেছে পেঁয়াজের বাজারে, দাবী ক্রতাদের।

বহদ্দারহাটে একজন প্রবাসী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, পেঁয়াজের দামে ভারসাম্য বা সরকারী গুদামে মজুদ না থাকা, দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা এবং অধিক মুনাফাকারীদের দায়ী করে বলেন, সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।

প্রসঙ্গত গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এর পরদিন থেকে দেশের বাজারে এই পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারেই দাম বেড়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৯০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারে তা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।

দাম বাড়ার পর ব্যবসায়ীরা বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন। মিয়ানমার থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি হতে থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও তিনটি চালানে মিসর, মিয়ানমার ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আবার গত শুক্র ও শনিবার কয়েকটি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে এসব পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছিল। আমদানির পাশাপাশি জেলা প্রশাসনগুলোও বাজারে তদারকি শুরু করে। সব মিলিয়ে দাম কমে আসে।

কিন্তু গত রোববার থেকে ফের বেড়ে চলছে পেঁয়াজের দাম।

একে/২৩১০১৯

Logo-orginal