admin
প্রকাশ: ২০১৯-১১-১৩ ২২:১৫:৪২ || আপডেট: ২০১৯-১১-১৩ ২২:১৫:৪২
লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত সাংবাদিক লম্পট সাইফুল ইসলাম বিরুদ্ধে।
গত ১২ নভেম্বর (সোমবার) রাতে মেয়েটির ভাই নাজিম লোহাগাড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন। যার ডায়েরী নং- ৫১৮।
কথিত সাংবাদিক নিজেকে দৈনিক ভোরের কাগজ লোহাগাড়া প্রতিনিধি ও লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সাম্পাদক পরিচয় দিয়ে থাকে।
নিখোঁজ ভিকটিম এর ভাই নাজিম উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, গত ১১ নভেম্বর (রবিবার) আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে আমার বোনের ভাসুর জাফর আমাকে মুঠোফোনে জানান, আমার বোনকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। তাৎক্ষনিক আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। আমার বোনের ৩টি সন্তান রয়েছে এসময় আমার ছোট ভাগীনি শিমরা (৩ বছর) কে নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত ফরুক আহমদের ছেলে লম্পট কথিত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম (৩৫ ) এর সাথে আমার বোনের দীর্ঘদিন পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ঘটনার পর থেকে কথিত সাংবাদিক সাইফুলের সাথে অনেক বার মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় খোঁজ নিয়ে আমি আমার মামা দেলোয়ারকে নিয়ে লোহাগাড়া সদর দরবেশহাট আকবর পাড়া সংলগ্ন তার বাড়িতে যায়।
এসময় কথা হয় তার স্ত্রী হাজেরা বেগম আরজুর সাথে। তিনি বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে একাদিক মেয়ের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত আছে। বিষয়টি নতুন কিছু নয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে। আমার ৩ ছেলে ও সংসারের দিকে তাকিয়ে নীরব থাকি এবং নির্যাতন সহ্য করি। বিভিন্ন মেয়ে নিয়ে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার খবর শুনেছি। আমি বিভিন্ন সময় বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে এবং তালাক দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। আমার স্বামী লম্পট সাইফুলকে বিভিন্ন সময় অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত দেখে আমি নিজ থেকে একটি অবিবাহিত মেয়ে বিয়ে করার প্রস্তাবও দিয়। আমার সংসারে ৩ জন ছেলে আছে। তাদের ও সংসারের দিকে তাকিয়ে আমি সহ্য করে যাচ্ছি। তার প্রদান টার্গেট ছিল প্রবাসীর স্ত্রী ও দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।
তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ঘটনারদিন ঐ মেয়েটির সাথে যাওয়ার আগে ওই মেয়েটির সাথে প্রায় রাতে কথা বলতো। আমি নিষেধ করতাম। আমকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো। গত পরশু ওই মেয়েটির সাথে পালিয়ে যাওয়ার আগমুহুর্তে মেয়েটির সাথে কথা বলতে বলতে ব্যাগে কাপড়-চোপড় ঢুকানের সময় আমি নিষেধ করলে আমাকে মারধর করে। সি.এন.জি চালককে ফোন দিয়ে তাড়াহুড়া করে চলে যায়। সে থেকে এখনও পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে কথিত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোন (০১৮১৮-২৪০০৫৮, ০১৮৪০-০৬৯৭০৬) বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লোহাগাড়া থানা সেকেন্ড অফিসার এস.আই আব্দুল হক প্রতিবেদককে জানান, নিখোঁজ ভিকটিম এর বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি থেকে ২টি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।