, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

admin admin

শুধু সাব্বির নন”কুয়েত থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরে যাচ্ছে অনেকে

প্রকাশ: ২০১৯-১১-২৭ ১২:৫৪:৫০ || আপডেট: ২০১৯-১১-২৭ ১২:৫৪:৫০

Spread the love

পরিবারের আর্থিক অনটন দূর করে একটু সচ্ছলতা আনতে ফ্রি ভিসায় কুয়েতে আসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাব্বির আহমেদ জুয়েল। না, তিনি পারেননি পরিবারের অভাব-অনটন ঘোচাতে। নিঃস্ব হয়েই দেশে ফিরে গেলেন তিনি।

২০১৬ সালের অক্টোবরে কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েত আসেন সাব্বির। শুধু সাব্বির নন, খাদেম ফ্রি ভিসায় এসে তার মতো প্রতিদিন এই রকম অনেকেই নিঃস্ব হয়ে ফিরে যায় যাচ্ছেন দেশে।

সাব্বিরকে নিয়ে জাগো নিউজের একটি প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হচ্ছে,বাস্তবতা হচ্ছে সাব্বিরের মত অনেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরে যাচ্ছে, কিন্তু দেখার কেঊ নেই ।

সুত্রে প্রকাশ, গত ২৬ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশি ইন কুয়েতের একটি পেজে সাব্বির আহমেদ নামে এক কুয়েত প্রবাসী পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কুয়েতে ৮ লাখ টাকা দিয়ে এসেছিলাম ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে। দুই বছর পর ৮০০ দিনার দিয়ে আকামা লাগালাম। চার মাস যেতে না যেতে দালালের কথা শুনে কুয়েতে ঝামেলা শুরু করল। আবার টাকা দাবি করছে, না দিলে আকামা ক্যানসেল করে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে।’

পোস্ট দেখে সাব্বিরের সঙ্গে প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তিনি মেসেজে যা জানান, তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‘আমি সাব্বির, ১৪/১০/২০১৬ সালে ৮ লাখ টাকা দিয়ে কুয়েতে আসি দালালের মাধ্যমে। দুই বছরের আকামা (থাকার অনুমতিপত্র) দেবে বলে কথা হয়েছে, কিন্তু এখানে আসার পর আমাকে এক বছরের আকামা দিয়েছে। পরে বলে আবার এক বছরর আকামা দেবে। যখন এক বছর শেষ হয়, তখন আমার কাছে আকামা দেয়ার জন্য আবার টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে, সে (দালাল) বলে, আমার আকামা দেবে না। তখন আমি ওনাকে চাপ প্রয়োগ করে আকামা দিতে বাধ্য করি।’

‘যা হোক, আমার কুয়েত লাইফে দুই বছর শেষ হওয়ার যখন আমি আবার দুই বছরের আকামার জন্য ৮০০ দিনার দিই। এর পাঁচ মাস পর মূল সমস্যার সম্মুখীন হই। তখন কুয়েতি আবার আমার কাছে ৬০০ দিনার দাবি করে। কুয়েতি বলে, যদি এই ৬০০ দিনার না দিই তাহলে আমার আকামা কেটে দেবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। আমার আকামা কেটে দিল। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম, আকামা কাটার পেছনে ভিসার দালালের হাত ছিল।’

Logo-orginal