, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

admin admin

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি” সেনা মোতায়েন

প্রকাশ: ২০১৯-১১-১০ ০৯:৩৪:০২ || আপডেট: ২০১৯-১১-১০ ০৯:৩৪:০২

Spread the love

সাতক্ষীরায় আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৩টার পর থে‌কে প্রচন্ড ঝ‌ড়ো বাতাস অব্যাহত র‌য়েছে। বিধ্বস্ত হ‌য়ে‌ছে সহস্রাধিক শতা‌ধিক ঘরবা‌ড়ি।

রোববার (১০ নভেম্বর) বাংলানিউজের সাতক্ষীরা ডি‌স্ট্রিক্ট ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে প্রচন্ড ঝ‌ড়ো বাতাস অব্যাহত র‌য়েছে।উপকূলীয় শ্যামনগ‌র এলাকায় ক‌য়েক হাজার গাছগাছা‌লি উপ‌ড়ে প‌ড়ে‌ছে।

শ্যামনগ‌র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন, গাবুরা ও পদ্মপুকুরের ৮০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া বৃ‌ষ্টির পা‌নি‌তে বি‌ভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, উপকূল অতিক্রমরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ক্রমশঃ দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে (২৯ নম্বর) জানানো হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো নয় নম্বর মহবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া বুলবুল অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সুত্রঃ বাংলা নিউজ ।

Logo-orginal